আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জানাজাকে ঘিরে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সড়ক, ময়দান হয়ে উঠেছে লোকে লোকারণ্য। শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বাদ জোহর আহমদ শফীর জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও সকাল ৯টার মধ্যেই হাটহাজারীর পৌরসভা এলাকায় তিল ধারণের ঠাঁই নেই। মাদ্রাসা প্রাঙ্গন ছাড়াও হাটহাজারী মেডিকেল থেকে বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়কেও আল্লামা শফির ভক্তদের উপচে পড়া ভিড়।
এদিকে আল্লামা শাহ আহমদ শফির জানাজাকে ঘিরে কঠোর সতর্ক অবস্থায় আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ড মোড় ও মেডিকেলের সামনে চেকপোস্ট বসিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওই সড়কের যান চলাচল।
দূরদূরান্ত থেকে আসা ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে রয়েছে প্রচন্ড শোকের ছায়া। চট্টগ্রামের আনোয়ারা থেকে আসা হাফেজ জয়নাল আবেদিন নামে একজনের সাথে কথা হয় চট্টগ্রাম প্রতিদিনের। একসময় পটিয়ার জিরি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করা এই আলেম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আজীবন সত্য ও হকের পক্ষে ছিলেন শাহ আহমদ শফী। তিনি শুধু বাংলাদেশের নয়, বরং বিশ্ব সেরা আলেমদের একজন ছিলেন। জীবনের সবটুকু সময় তিনি দ্বীনের খেদমত করেছেন।’
শেষ সময়ের ঘটে যাওয়া ঘটনা প্রবাহ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ তাঁর প্রিয় বান্দাদের নানাভাবে পরীক্ষা করেন। উনাকেও তাই করেছেন।’
জানাজায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় কিছু ঝামেলা হয়েছে শুনেছি। এটা খুব খারাপ হয়েছে। আশা করছি চট্টগ্রামে তেমন কিছুই হবেনা। আল্লাহর প্রিয় একজন বান্দা দুনিয়া ছেড়ে গেছেন। আমাদের সকলেরই উচিত উনাকে সম্মানের সাথে বিদায় দেওয়া।’
এদিকে মাওলানা আহমদ শফিকে সমাহিত করতে হাটহাজারী মাদ্রাসার ভিতরে উত্তর পাশের বায়তুল আতিক মসজিদের সামনে কবর খনন করা হচ্ছে। ১০ থেকে ১২ জনের এক দল শিক্ষার্থী নিয়োজিত আছেন কবর খননে।
র্যাব ও পুলিশের কড়া প্রহরায় মাওলানা আহমদ শফির মরদেহ সকাল ৯ টায় হাটহাজারী এসে পৌঁছায়।
এর আগে সকাল ৮ টায় চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার রসিদুল হক,
র্যাবের সিইও মশিউর রহমান জুয়েল আল্লাম শফির কবর পরিদর্শন করেছেন।
এসময় ডিআইজি আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মরহুম আহমদ শফির জানাযা ও দাফনের জন্য সার্বিক প্রস্তুতি নিশ্চিত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলাসহ সার্বিক বিষয়ে প্রশাসনের প্রস্তুতি সর্বোচ্চভাবেই রয়েছে।
এমএফও