আলুর নতুন বাজার ব্রুনাই, চাহিদা বাড়ছে মালয়েশিয়া—মধ্যপ্রাচ্যেও

এবার বাংলাদেশি আলুর নতুন বাজার সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশ ব্রুনাইয়ে। মৌসুমের শুরুতে ফেব্রুয়ারি মাসেই ১০৬ মেট্রিক টনের একটি চালান পাঠানো হয়েছে ওই দেশে। ব্যবসায়ীদের আশা, ব্রুনাইয়ে প্রচুর আলু রপ্তানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক অর্থ উপার্জন সম্ভব হবে।

জানা গেছে, বাংলাদেশের আলু উৎপাদন মৌসুমের শুরুতেই দুই মাসে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৭৪৮১ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি হয়েছে। গত জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসে আলু রপ্তানি হয়েছে ৯১৫১ মেট্রিক টন আলু। যদিও বাংলাদেশ থেকে আলু রপ্তানির বড় বাজার এখন সৌদি আরব, দুবাই, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, শ্রীলংকা ও বাহরাইন।

প্রতিবছর কৃষকের উৎপাদিত আলু রপ্তানি করে বিপুল বৈদেশিক অর্থ আয় করছে বাংলাদেশ। ডায়মন্ড, কামবিকা, গ্রানোলা, কার্টিনাল, ম্যানিলা জাতীয় আলুর বেশি চাহিদা রয়েছে বিদেশে। আলু উৎপাদনকারী দেশের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্বে সপ্তম অবস্থানে রয়েছে। প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ১০ মিলিয়ন টন আলু উৎপাদিত হয়।

সূত্রমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই মাসে ১৮৯ মেট্রিক টন, আগস্ট মাসে ২০২ মেট্রিক টন, সেপ্টেম্বর মাসে ৪৮৯ মেট্রিক টন, অক্টোবর মাসে ৩৫৩ মেট্রিকটন, নভেম্বর মাসে ২৬৯ মেট্রিকটন, ডিসেম্বর মাসে ১৬৪ মেট্রিকটন, এবছরের জানুয়ারি মাসে ২৭৪৩ মেট্রিকটন এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ৪৭৩৮ মেট্রিকটন আলু রপ্তানি হয়েছে।

এর মধ্যে মালয়েশিয়ায় ৬৫৫১ মেট্রিক টন, সিঙ্গাপুরে ৩৮৯ মেট্রিকটন, শ্রীলংকায় ৩০০ মেট্রিক টন, আরব আমিরাতে ৮৫৫ মেট্রিকটন, মালদ্বীপে ১৩৫ মেট্রিকটন, সৌদি আরবে ৫৮৫ মেট্রিক টন, কাতারে ৯৪ মেট্রিকটন, বাহরাইনে ১৩২ মেট্রিকটন, ব্রুনাইয়ে ১০৬ মেট্রিকটন আলু রপ্তানি হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং থেকে জানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩৯ হাজার ৩০৭ মেট্রিক টন, ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ১৫ হাজার ৪৩৭ মেট্রিক টন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৪৪ হাজার ৪৯৭ মেট্রিক টন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৯ হাজার ৩৫৯ মেট্রিক টন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৩২ হাজার ৮৯ দশমিক ৮৪২ মেট্রিক টন, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ৩০ হাজার মেট্রিকটন আলু রপ্তানি হয়েছিল। এ অর্থবছরেও ওই পরিমাণ রপ্তানি হবে বলে আশাবাদী সংশ্লিষ্টরা।

চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইংয়ের উপ-পরিচালক নাছির উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আলু রপ্তানির জন্য নতুন বাজার সৃষ্টি হয়েছে ব্রুনাই। সিঙ্গাপুর, মধ্যপ্রাচ্য, মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কায় আমাদের আলুর বাজার আছে। তবে আগে রাশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াতে আলুর বাজার থাকলেও এখন সেটা নেই।’

আলু ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ‘থিংকস টু সাপ্লাই’ এর স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ‘নতুন নতুন দেশে আলু পাঠাতে পারলে আমাদের প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতো। নতুন বাজার সৃষ্টির জন্য সরকারকে আরো উদ্যেগী হওয়ার দাবি জানাই আমরা।’

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!