আলুটিলা-রিসাং ঝরনার সৌন্দর্য দেখতে পর্যটকদের ভিড় খাগড়াছড়িতে

পাহাড়ের রানী খাগড়াছড়ি। সবুজ পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে সারাদেশ থেকে আসা পর্যটকদের ভিড় জমেছে এখানে। ঈদের ছুটিতে যান্ত্রিক জীবন ও কর্মব্যস্ততা ভুলে খাগড়াছড়িতে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে এখন পর্যটকদের ঢল।

আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্র, রিসাং ঝরনা (তেরাংতৈকালাই ঝরনা), জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্ক, তারেং, মায়াবিনী লেখ, আলুটিলা বৌদ্ধ-বিহারসহ সকল পর্যটনকেন্দ্রে সারাদেশ আসা পর্যটকের ভিড়।

আলুটিলা ও রিসাং ঝরনা (তেরাংতৈকালাই ঝরনা) গিয়ে দেখা যায়, পর্যটনকেন্দ্রে পৌঁছেই ছবি তুলতে ব্যস্ত পর্যটকরা। শত শত পর্যটক সমাগম ঘটেছে সকল পর্যটন কেন্দ্রে। পরিবার, বন্ধুবান্ধব নিয়ে যে যার মতো করে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

ঢাকা থেকে বেড়াতে আসা আরিয়ান, জুয়েল, মেহেরিন, আরিশা বলেন, ‘না আসলে বুঝতে পারতাম না। অনেকের থেকে দেখে শুনে এসেছি। আজ এসে বুঝতে পারলাম। ভালো লাগছে।’

কুমিল্লা থেকে ঘুরতে আসা আরিফ আজাদ ও আরাফাত বলেন, ‘আমরা ঈদের ছুটি পেয়ে পরিবার সাথে নিয়ে খাগড়াছড়িতে বেড়াতে এসেছি। মনোরম দৃশ্য দেখতে এসেছি। আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রটা খুব সুন্দর। পরিবার নিয়ে বেড়ানোর জন্য খুবই চমৎকার জায়গা।’

আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক চন্দ্র কিরণ ত্রিপুরা বলেন, ‘ঈদের টানা ছুটিতে আলুটিলা পর্যটনকেন্দ্রে ঈদের প্রথম দিন ১ হাজার ৮০০, দ্বিতীয় দিন ২ হাজার ৫০০ ও আজ ২ হাজার ২০০ পর্যটক প্রবেশ করেছে।’

রিসাং ঝরনার (তেরাংতৈকালাই ঝরনা) তত্ত্ববধায়ক শান্তিময় ত্রিপুরা বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটক ঝরনা দেখতে আসছে। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ১ হাজার ২০০ পর্যটক ঘুরে গেছেন।’

পার্বত্য যানবাহন মালিক কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক কিষালয় চাকমা বলেন, ‘ছুটিতে খাগড়াছড়িতে পর্যটক ভালো এসেছে। শুধু আমাদের সমিতি থেকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৫৫টি পর্যটনবাহী পিকাআপ সাজেক ও খাগড়াছড়ির বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে।’

খাগড়াছড়ি শহরের মিলনপুর এলাকার হোটেল গাইরিংয়ের ব্যবস্থাপক অনন্ত বিকাশ ত্রিপুরা বলেন, ‘করোনা কমে আসায় পর্যটকদের প্রচুর সাড়া পাচ্ছি। আমরা আশা করছি যে ক্ষতিটা হয়েছিল সেটা পুষিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাব।’

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. আবদুল আজিজ বলেন, ‘খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ এই পর্যটকদের সাবিক নিরাপত্তার জন্য। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকরা যাতে যথাযথভাবে আনন্দ উপভোগ করতে পারে সেজন্য সজাগ রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!