আলকরণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হলেন আবদুস সালাম মাসুম

স্থগিত হওয়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ৩১ নম্বর আলকরণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবদুস সালাম মাসুম বেসকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ভোটগণনা শেষে সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়। মোট ৪ হাজার ৫০৩ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ২৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।

এই ওয়ার্ডে ৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী আবদুস সালাম মাসুম (লাটিম) ৩ হাজার ৩৫০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ইয়াছিন আরাফাত (মিষ্টি কুমড়া) ৭৭০ ভোট, বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. দিদারুর রহমান লালু (রেডিও) ৩৫৮ ও হানিফ ভূঁইয়া (ঠেলাগাড়ি) পেয়েছেন ২৫ ভোট।

এর আগে রোববার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি তেমন একটা না থাকায় অনেকটা আমেজবিহীন নির্বাচন হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন সংশ্লিষ্টরা।

আলকরণ ওয়ার্ডে দায়িত্বরত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কামরুল আলম জানান, ইভিএমের মাধ্যমে এই ওয়ার্ডে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোন প্রার্থীর পক্ষ থেকে ভোটকেন্দ্র দখল, মারামারি বা ভোট কারচুপির অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম হলেও কোথাও কোনো সহিংসতার ঘটনা ঘটেনি এটাই বড় বিষয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি কেন্দ্রে ৬ জন পুলিশ সদস্য, ১২ জন আনসার সদস্য ও র‌্যাবের টিম দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্বে ছিলেন। ভোটগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন ৭ জন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, ৪২ জন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও ৮৪ জন পোলিং কর্মকর্তা।

তিনি বলেন, এই ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ১৬৮ জন। ভোটকেন্দ্র ৭টি। বুথের সংখ্যা ৪২টি।

প্রসঙ্গত, আলকরণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সোলায়মান সেলিম মারা যাওয়ায় গত ২৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের নির্ধারিত দিনে এ ওয়ার্ডে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।

এআরটি/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!