আর্থিক সুবিধা না পাওয়ায় প্রাণ গেল ১২০টি কলাগাছের

চট্টগ্রামের বাঁশখালী জলদী অভয়ারণ্য বনবিট কর্মকর্তা কবির আহমদ ও গার্ড নেজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে পৌরসভার দক্ষিণ জলদী আদর্শ গ্রামের এক গরিব চাষির ১২০টি কলাগাছের চারা কেটে নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৮ মে) বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরীর কাছে ক্ষতিগ্রস্থ চাষি ফজল কাদের বাদি হয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে- মঙ্গলবার সকালে জলদী অভয়ারণ্য বনবিট কর্মকর্তা কবির আহমদ ও গার্ড নেজাম উদ্দিন আর্থিক সুবিধা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে তপশীভুক্ত ৪২ বছরের পৈত্রিক দখলীয় খাস খতিয়ানের জায়গা অন্যায়ভাবে বনবিভাগের দাবি করে কলাগাছের চারা কেটে দিয়েছেন। কোনো রূপ পরিমাপ ছাড়া বনবিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কলাগাছের চারা নিধনের মত এই ঘটনায় চাষি ফজল কাদের বিচার দাবি করেন।

চাষি ফজল কাদের বলেন, অন্যায়ভাবে বনবিট কর্মকর্তা ও গার্ড আমার ১২০টি কলাগাছের চারা কেটে দেয়ার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অভিযোগ করায় তারা আমার বিরুদ্ধে ৪/৫টি মিথ্যা মামলায় ফাঁসাবে বলে হুমকি দিচ্ছে। আমি ৩০ হাজার টাকা খরচ করে ১২০টি কলাগাছের চারা রোপন করেছিলাম। আমি সরকারের কাছে এর বিচার চাই।’

স্থানীয় আদর্শ গ্রামের বাসিন্দা আবুল খায়ের বলেন, বনবিট কর্মকর্তারা বনের রাজার মত বনকে ব্যবহার করে নানা অনৈতিক পন্থায় টাকা কামাচ্ছে। কেউ প্রতিবাদ করলে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসায়। আমার বিরুদ্ধেও একটি মিথ্যা মামলা করেছিল। পরে বনবিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করায় মামলাটি বনবিট কর্মকর্তা নিজ খরচে উঠিয়ে নেন। এভাবেই চলছে গরিবদের ওপর নির্যাতন নিপীড়ন।

বনবিট কর্মকর্তা কবির আহমদ বলেন, আমি কোন আর্থিক সুবিধা আদায় করিনি। অনুমতি না নিয়ে বনবিভাগের জায়গায় কলাগাছের চারা রোপন করায় কেটে দিয়েছি।

বনবিভাগের জায়গা হলেও গাছের চারা কেটে দেয়ার কোন বিধান আছে কি না জানতে চাইলে তিনি কোনো জবাব না দিয়ে মোবাইল সংযোগ কেটে দেন।

বনবিভাগের জলদি রেঞ্জের রেঞ্জার আনিছুজ্জামান শেখ বলেন, জায়গাটি বনবিভাগের নাকি খাস খতিয়ানভুক্ত কলাগাছের চারা কাটার আগে বিট কর্মকর্তার তা পরিমাপ করা উচিত ছিল। তাছাড়া বনবিভাগের হলেও গাছের চারাগুলো না কেটে বনবিভাগের দখলে নেওয়া আইনসিদ্ধ।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, চাষি ফজল কাদেরের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!