আয়াত হত্যা মামলায় এবার ‘খুনি’ আবিরের মা-বাবা রিমান্ডে

বোনকে পাঠানো হলো শিশু আদালতে

চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকায় চাঞ্চল্যকর ৫ বছরের শিশু আলীনা ইসলাম আয়াত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত আবির আলীর পর এবার তার মা-বাবা ও বোনকে আটক করা হয়েছে। আয়াতের লাশের টুকরো উদ্ধারে তথ্য জানতে আবিরের মা-বাবাকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এছাড়ার তার বোনের বয়স কম হওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক দেখানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহ’র আদালত শুনানি শেষে আবিরের মা-বাবাকে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এছাড়াও আবিরকে দু’দফায় রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। ২৬ নভেম্বর দু’দিনের এবং সর্বশেষ সোমবার (৩০ নভেম্বর) আবেদনের প্রেক্ষিতে সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয় প্রধান অভিযুক্ত আবির আলীকে।

এর আগে সোমবার (২৮ নভেম্বর) নগরীর ইপিজেড এলাকা থেকে আবীর মা-বাবা ও বোনকে আটক করে পিবিআই। শিশু আয়াত হত্যা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পিবিআই। তবে ১৮ বছরের কম হওয়ায় আবিরের বোনকে শিশু আদালতে আটক দেখানো হয়েছে।

আবিরের বাবা আজহারুল ইসলাম, মা আলো বেগম এবং বোনের বাড়ি রংপুর হলেও তারা প্রত্যেকে ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডের নয়ারহাট এলাকার ভাড়াটিয়া।

বাদির আইনজীবী অ্যাডভোকেট সেলিম উল্লাহ চৌধুরী জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অভিযুক্ত আবির আলীর মা-বাবাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) ইপিজেড থানার নয়ারহাট এলাকা থেকে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১০ দিন পর ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে ২৪ নভেম্বর আকমল আলী রোড থেকে আবিরকে আটক করে পিবিআই। এরপর আবিরের মা ও বোনের বাসায় রক্তের ছাপ ও মাংস কাঁটার গাছের গুঁড়ি উদ্ধার করে পিবিআই। পিবিআইয়ের কাছে শিশু আয়াতকে খুনের পর কেটে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও ঘটনার ১৫ দিন পরও শরীরের কোনো অংশ উদ্ধার হয়নি।

লাশের অংশ উদ্ধারের জন্য অভিযুক্ত আবিরকে নিয়ে কয়েক দফা অভিযানে যায় পিবিআই। তারপরও লাশের হদিস না পাওয়ায় আয়াতের পরিবারের দাবি, তাদের আয়াত বেঁচে আছে। এবং আবিরের মা-বোনরা জানে সে কোথায়। নিখোঁজ মামলায় তাদের আটকের দাবি জানিয়ে আসছিল আয়াতের পরিবার। পরে পরিবারের দাবির প্রেক্ষিতে তাদের আটক করা হয়।

আয়াত নিখোঁজের পর আকমল আলী সড়ক এলাকায় আবিরের মায়ের বাসার সামনের একটি ঝোপ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করে পিবিআই। এছাড়া আয়াতের বাসার পাশে কবরস্থানে আয়াতের পায়ের স্যান্ডেলও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আয়াতের বাবা বাদি হয়ে নগরীর ইপিজেড থানায় মামলা দায়ের করেন। রোববার আবির আলীকে সঙ্গে নিয়ে ফের মরদেহের খণ্ডিত অংশগুলোর সন্ধানে তল্লাশি চালায় পিবিআই।

বিএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!