‘আম্ফান’ সতর্কতায় জাহাজশূন্য চট্টগ্রাম বন্দর জেটি, বন্ধ পণ্য উঠানামার কাজও

চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি থেকে জাহাজ সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জেটি থেকে ১৯টি, বহির্নোঙর থেকে ৫১টি হাজার গভীর সমুদ্রে পাঠানো হয়।

ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে সোমবার (১৮ মে) বিকেল থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে রেড অ্যালাট ৩ জারি করা হয়েছে। অ্যালাট জারির সাথে সাথে বন্দরের জেটি থেকে জাহাজ খালি করার কাজ শুরু হয়।

মঙ্গলবার (১৯ মে) সকাল ১০টা থেকে একেবারে জাহাজশূন্য জেটি। গ্যান্ট্রিক্রেনের বুম উপরে তোলা হয়েছে। জেটিতে নদীর কাছাকাছি রাখা কনটেইনারগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে।

ঘুর্ণিঝড় মোকাবিলায় দুটি কন্ট্রোল রুম খুলেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মতে, ছোট জাহাজ কর্ণফুলী সেতুর উজানে আর বড় জাহাজ কুতুবদিয়া মাতারবাড়ি সরে নেওয়া হয়েছে।

বন্দর চ্যানেলে অবস্থানরত অভ্যন্তরীণ জাহাজ ও ছোট ছোট নৌযান কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতুর উজানে কালুঘাট এলাকায় চলে গেছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের উপপরিচালক ক্যাপ্টেন ফরিদ উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, বহির্নোঙর ও জেটি পুরোটাই খালি। কর্ণফুলির থেকেও ছোট জাহাজগুলো উজানে পাঠানো হয়েছে। জেটিতে অবস্থানরত সব জাহাজকে বহির্নোঙরে (সাগরে) সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বন্দরের কোন ধরণের কাজ চলছে না।

তিনি বলেন, আমরা ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করছি। আম্ফান এখন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মাত্র ৮৯০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। পূর্ব প্রস্তুতিমুলক সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জরুরি তথ্য আদান-প্রদানের জন্য বন্দরের নৌ ও পরিবহন বিভাগ দুইটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ চালু করেছে।

এএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!