“আমি মহিউদ্দিন চৌধুরী জীবনে নরম কথা বলিনাই লালদীঘিতে আসুন গরম কথা বলব”

“আমি মহিউদ্দিন চৌধুরী জীবনে নরম কথা বলিনাই লালদীঘিতে আসুন গরম কথা বলব” 1এহসান আল-কুতুবী : নগর আওয়ামীলীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমি মহিউদ্দিন চৌধুরী। জীবনে নরম কথা বলিনাই। কারও কাছে মাথা নত করিনাই। ১০ তারিখ লালদীঘিতে আসুন, সেখানে গরম কথা বলব। তিঁনি ১০ এপ্রিল লালদীঘির ময়দানে ডাকা সমাবেশে সাংবাদিকদের উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানান ।

শনিবার (০৮ এপ্রিল) দুপুরে নাতনির আকিকা উপলক্ষে আয়োজিত মেজবানে সাংবাদিকদের নিজ বাসায় অনুষ্ঠানের এক ফাঁকে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন ।

মহিউদ্দিনপুত্র আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল দ্বিতীয় সন্তান হান্নাকে নিয়ে নওফেল দম্পতি শুক্রবার চট্টগ্রামে পৌঁছেন। নগরীর চশমাহিলের বাসভবনে মেয়ের আকিকা অনুষ্ঠানে নওফেলও অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

একই দলের দুই নেতার প্রকাশ্য পরস্পরবিরোধী অবস্থান চট্টগ্রাম জুড়ে আলোচিত হচ্ছে সোমবার (১০ এপ্রিল) লালদীঘির মাঠে ডাকা একটি সমাবেশকে ঘিরে । অনেকটা প্রায় মুখোমুখি অবস্থানে পৌঁছেছেন সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী এবং বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন চৌধুরী।

বর্ধিত হারে হোল্ডিং ট্যাক্স (গৃহকর) আদায়ের সিদ্ধান্ত বাতিল এবং মৎস্যজীবীদের অধিকার আদায়ে ডাকা হয়েছে এই সমাবেশ। সোনালী যান্ত্রিক মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির ব্যানারে এই সমাবেশ ডাকা হয়েছে।
তিঁনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে আমি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগকে তৈরি করেছি। চট্টগ্রামে রাজনীতির ক্ষেত্র আমি তৈরি করেছি। আজ যা ইচ্ছা তা-ই করে চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করছে। আমি বঙ্গবন্ধুর কর্মী। অন্যায়কে জীবনে প্রশ্রয় দিই-নাই। আগামীতে যারা অন্যায় করবে, দলের ক্ষতি করবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই রুখে দাঁড়াব। ’

গত ফেব্রুয়ারি মাসে নগরীতে মাছের সবচেয়ে বড় আড়ত (মৎস্য অবতরণকেন্দ্র) ফিশারিঘাট বর্তমান পাথরঘাটা থেকে সরিয়ে বাকলিয়ার রাজাখালীতে নিয়ে যাবার আদেশ দেন মেয়র। মূলত সেখান থেকেই প্রকাশ্য বিরোধের সূত্রপাত।

মেয়রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে মাঠে নামেন মহিউদ্দিন। বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে মাছের আড়তটি পাথরঘাটা থেকে স্থানান্তরে বাধা দেন মহিউদ্দিন। এতে মাছের আড়তটি আবারও ফিরেছে পাথরঘাটায়।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!