আমিরাত থেকে আপেলের আড়ালে বিদেশি সিগারেট আনলেন ফলমন্ডির ব্যবসায়ী

আপেলের ঘোষণায় সিগারেট এনে ৫ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছেন চট্টগ্রামের ফলমন্ডির মারহাবা ফ্রেশ ফ্রূটস। নগরের কোতোয়ালী থানাধীন রেলওয়ে সুপার মার্কেটের (ফলমন্ডি) উক্ত আমদানিকারক আরব আমিরাত থেকে এ চালান নিয়ে আসেন চট্টগ্রাম বন্দরে।

এতে ২২ লক্ষ ১৯ হাজার শলাকা সিগারেট পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগ্রেশন এন্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা এ তথ্য জানায়।

একদিন আগে জুবিলি রোডের আরাফাত এন্টারপ্রাইজের মিথ্যা ঘোষণায় আনা ৮০ কোটি টাকা মূল্যের সিগারেটের জাল স্ট্যাম্প জব্দ করে কাস্টমস।

কাস্টমস সুত্র জানায়, পণ্যচালানটি আমদানির লক্ষ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংক খাতুনগঞ্জ শাখা থেকে ৬ ডিসেম্বর এলসি ইস্যু করা হয়। এক কন্টেইনার আমদানিকৃত পণ্যের সিএন্ডএফ এজেন্ট ছিল চট্টগ্রামের মাদারবাড়ির জিমি এন্টারপ্রাইজ। সিএন্ডএফ এজেন্ট ২০ ডিসেম্বর উক্ত পণ্য চালান খালাসের জন্য বিল অব এন্ট্রি দাখিল করেন।

কাস্টমসের এআইআর শাখা জানায়, পণ্য চালানটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষার সময় কন্টেইনারে থাকা ১ হাজার ১২০টি ফ্রেশ আপেল এর কার্টন পাওয়া যায়। এরপর কনটেইনারের ভেতরে বা শেষের দিকের অংশে ৭৫৪টি কার্টনের মধ্যে আপেলের নীচে ইনার কার্টনে লুকিয়ে রাখা বিভিন্ন ব্রান্ডের বিদেশি সিগারেট পাওয়া যায়।

এর মধ্যে মন্ড, ইজি, ওরিশ ব্যান্ডের সর্বমোট ২২ লক্ষ ১৯ হাজার শলাকা রয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের ডেপুটি কমিশনার সালাউদ্দিন রেজভী বলেন, জব্দ করা সিগারের চালানের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা এবং যার মাধ্যমে প্রায় ৫ কোটি ৩০ লক্ষ টাকার রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়েছে।

এছাড়াও পণ্যচালানটিতে ১৫ হাজার ৯৮ কেজি ফ্রেশ আপেল পাওয়া যায় এবং ২ হাজার ৪৮৮ কেজি জিপি শিট সিগারেটের কার্টনের মধ্যে পাওয়া যায়।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় দোষীদের দ্রুত চিহ্নিত করে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টম কমিশনার।

এএস/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!