চালান জালিয়াত আমানুল্লাহ আয়রনের বিরুদ্ধে কাস্টমসের মামলা

জেপি শিটের ৪৩ হাজার ৩০ কেজির একটি চালানকে মাত্র ৩ হাজার ৩ কেজি দেখিয়ে খালাস নেওয়ার ঘটনায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আমানুল্লাহ আয়রন ট্রেডার্সের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে নগরের বন্দর থানায়।

বুধবার (৯ অক্টোবর) চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) মোহাম্মদ সানজু মিয়া বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে প্রধান বিবাদি করা হয়। ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আমানুল্লাহ আয়রন ট্রেডার্সের সত্ত্বাধিকারী আমান উল্লাহ (৬২), সিএন্ডএফ এজেন্ট চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার স্ট্যান্ডার্ড ফ্রেইটের সত্ত্বাধিকারী সাদিকুর রহমান (৫৬), কাস্টমস সরকার জহুরুল ইসলাম (৫৯) ও রায়হানকে (৩৬) বিবাদি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর থানার সুকান্ত চক্রবর্তী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মামলার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৬ অক্টোবর (রোববার) সন্ধ্যায় তিনটি কনটেইনারে জেপি শিটের একটি চালান আটক করে চট্টগ্রাম কাস্টমস। আটকের পর জেপি শিটের চালানবাহী তিনটি ট্রাক বন্দরের নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। ট্রাকগুলো হচ্ছে ঢাকা মেট্রো ট-২২৭৪২৮, ফেনী ট- ১১০৮০৩ ও ফেনী ট-১১০৭৮৮।

জানা গেছে, জেপি শিটের ৪৩ হাজার ৩০ কেজির চালানটি এমভি ক্যাপ মনটেরি নামে একটি জাহাজে করে জাপান থেকে আনে আমানুল্লাহ আয়রন ট্রেডার্স নামে ঢাকাভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান। চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার স্ট্যান্ডার্ড ফ্রেইট ইন-কর্পোরেশন নামের একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিল।

রোববার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ওই এজেন্ট জেপি শিটের ওই চালানটি মাত্র ৩ হাজার ৩ কেজি দেখিয়ে খালাস করতে যায়। খালাসের সময় দেওয়া বিল অফ এন্ট্রিতে প্রকৃত ওজনের চেয়ে ৪০ হাজার ২৭ কেজি কম দেখানো হয়।

গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জালিয়াতির এই ঘটনা জানার পর খালাসের প্রাক্কালে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ চালানটি আটক করে। এ সময় দেখা যায়, খালাসের সময় দেওয়া বিল অফ এন্ট্রির পুরোটাই ভুয়া। প্রকৃত বিল অফ এন্ট্রিতে ৪৩ হাজার ৩০ কেজির শুল্ক নির্ধারিত হয় দুই লাখ ৮৫ হাজার ২৫৫ টাকা। অন্যদিকে ভুয়া বিল অফ এন্ট্রিতে ৩ হাজার ৩ কেজির শুল্ক দেখানো হয়েছে মাত্র ৩৬ হাজার ২০৩ টাকা।

এএস/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!