আমানবাজারে নারীর মৃত্যু, শ্বাসকষ্ট শুনতেই এলাকায় ছড়াল আতঙ্ক

চট্টগ্রামের হাটহাজারীর আমানবাজারে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন এক গৃহবধূ। গত কয়েকদিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি।

রোববার (২৪ মে) সন্ধ্যা রাত ১২ টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরিদা বেগম রোজী (৪৫) নামের ওই গৃহবধূ মারা যান।

জানা গেছে, আমানবাজার ১ নং দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ডের খোরশেদ আলমের স্ত্রী ৫ সন্তানের মা ফরিদা বেগম রোজী। তিনি হাটহাজারী মুরাদপুর সড়কের আমান বাজারের পশ্চিমে নুরনাহার ভবনের নিজস্ব বাসায় থাকতেন। কয়েকদিন ধরে তিনি শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা নেওয়ার পর শ্বাসকষ্ট আরও বেড়ে গেলে ৩ দিন আগে তাকে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ সেবা ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। সেখানে অবস্থার আরও অবনতি হলে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রোববার (২৪ মে) রাত ১২টায় তিনি সেখানে মারা যান।

ঈদের দিন সকালে স্বাভাবিক নিয়মে জানাজায় কয়েকশত লোক অংশ নেন। জানাজায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা পরে ঈদের জামাতেও অংশ নেন। জানাজার পর ওই গৃহবধূকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। পরে শ্বাসকষ্টে মারা যাওয়ার বিষযটি জানার পর জানাজায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা ছাড়াও এলাকার মানুষদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। মৃত ওই গৃহবধূ যে ভবনে থাকতেন, সেখানে ৪০টি ফ্ল্যাটে প্রায় ৫০০ জন ভাড়াটিয়ার বসবাস রয়েছে। বর্তমান অবস্থায় তাদের মাঝেও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

করোনা উপসর্গে মৃত্যর খবর পেয়ে হাটহাজারী থানা পুলিশের একটি দল ওই গৃহবধূর বাড়িতে এসে কথা বলে যান। এদিকে মৃতের স্বজনের নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রুহুল আমীন বলেন, মারা যাওয়া গৃহবধূ করোনা আক্রান্ত ছিলেন না। প্রাথমিকভাবে তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছে বলে জানা যায়। তবু আমরা মৃতের স্বজনের নমুনা পরীক্ষা করার কথা বলেছি। তাদের নমুনা পরীক্ষার পর যদি করোনা পজিটিভ হয় তাহলে ভবন লকডাউন করা হবে।

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদ আলম বলেন, আমান বাজারে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক গৃহবধূর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল যায়। তবে স্বাভাবিক মৃত্যুর কারণে ভবন লকডাউন করা হয়নি। মৃতের স্বজনদের নমুনা পরীক্ষায় যদি পজিটিভ আসে, তখন উপজেলা প্রশাসন বললে আমরা ভবন লকডাউন করব।

সিএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!