আমাদের কথা কেউ শুনে না!

 

দীর্ঘ আটাইশ বছর চাকুরী করছি। দুইশত টাকা বেতন থেকে গ্রাম পুলিশের চাকুরি শুরু করেছিলাম। আমাদের মা বাবা “অভিভাবক নেই” আমাদের সাথে কুকুর বিড়ালের মতো ব্যবহার করা হয়। যার যেমনটি ইচ্ছে হয় ঠিক তেমন করেই আমাদেরকে ব্যবহার করে স্বার্থ আদায় করে নেয় কিন্তু একটিবারও তারা ভাবে না যে, আমরা্ও যে দেশের ক্ষুদ্র দায়িত্বে আছি। এসব কাকে বলি,“আমাদের কথা যে শুনার মত লোক নেই।  IMG_20160429_124839

 

 

ঠিক এমন করুণভাবেই নিজের দীর্ঘ আটাশ বছরের কর্ম জীবনের বর্ণনা করলেন সন্দ্বিপ উপজেলার প্রবীণ গ্রাম পুলিশ বোরহান উদ্দিন। আজ সকালে নগরীর মুসলিম ইনষ্টিটিউটে বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ কর্মচারি ইউনিয়ন চট্টগ্রাম জেলা আয়োজিত জেলা সম্মেলনে তিনি এ মতামত উপস্থাপন করেন।

 

 

তিনি বলেন, গত সাড়ে সাত মাস যাবৎ ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বেতন ভাতা কিছুই পাচ্ছে না সন্ধ্বিপ উপজেলার গ্রাম পুলিশ সদস্যরা। অতচ নির্ধারিত ডিউটির বাইরেও প্রতিনিয়ত ইউনিয়ন পরিষদের সকল কাজকর্ম করতে হয় তাদের। কোন কোন চেয়ারম্যানের বাড়ির গৃহস্থালির কাজ করতে হয় কোন কোন গ্রাম পুলিশকে।

 

গ্রাম পুলিশ ইউনিয়ন সভাপতি মো.ইব্রাহিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন সাংবাদিক ও লেখক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শাহ জাহান কবির জহির, গ্রাম পুলিশ উপদেষ্ঠা জামাল উদ্দিন খান মৃদুল, সাধারণ সম্পাক কমান্ডার মোস্তাফা কামাল, যুগ্ম সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সত্য নারায়ণ দাশ, শ্রমীক লীগ নেতা এ কে এম শহীদুল্লাহ, কামাল উদ্দিন চৌধুরী, উজ্জ্বল বিশ্বাস প্রমুখ।

 

সম্মেলনে বক্তারা বলেন, জাতীয় বেতন স্কেলে গ্রামীন পুলিশকে অন্তভুক্ত করতে হবে। স্বল্প মূল্যে রেশনিং ব্যবস্থা চালু, ও পাঁচ লক্ষ টাকা অবসর ভাতা প্রদানসহ আরো বেশ কয়েকটি দাবী রাখেন তারা।

 

সম্মেলনে ১৫ টি উপজেলার প্রায় সাত শতাধিক গ্রাম পুলিশ উপস্থিত থেকে মতামতের সমর্থন করেন।

 

রিপোর্ট, আমিনুল হক শাহীন

এ এস / জি এম এম / আর এস পি::;

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!