আমজাদ খুনের মামলায় নেজাম চেয়ারম্যানসহ ১০ আসামি কারাগারে (ভিডিও)

আদালতে গেলেও হাজিরা না দিয়ে পালালেন বশির

২২ বছর আগের আমজাদ চেয়ারম্যান খুনের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় জামিনে থাকা ১০ আসামির জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক একেএম মোজাম্মেল হকের আদালত এই আদেশ দিয়েছেন।

১৯৯৯ সালের ৩ অক্টোবর সাতকানিয়ার মির্জাখিল দরবার শরিফের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় সোনাকানিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেনকে। এ ঘটনায় ৪ অক্টোবর নিহতের স্ত্রী সৈয়দা রওশন আকতার বাদী হয়ে সাতকানিয়া থানায় হত্যামামলা দায়ের করেন। ২০০০ সালের ২২ ডিসেম্বর আদালতে হত্যা মামলাটির চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ।

বুধবার (১১ নভেম্বর) এই মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হওয়ার পর যে কোনো দিন মামলার রায় ঘোষণা হতে পারে। তাই উপস্থিত অভিযুক্ত সকল আসামিকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছেন।

জামিন বাতিল হওয়া ১০ আসামি হলেন ইমতিয়াজ ওরফে ঠোঁটকাটা মানিক, সাতকানিয়া সদর ইউপির চেয়ারম্যান নেজাম উদ্দিন চৌধুরী, ইদ্রিস (পিতা ইব্রাহিম মিস্ত্রি), জাহেদ, আবু মোহাম্মদ রাশেদ, ফরোখ আহমদ, হারুনুর রশিদ, জিল্লুর রহমান, রফিক ও তাহের।

দীর্ঘ ২২ বছরের এই বিচারিক প্রক্রিয়ায় ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট এসইউএম নুরুল ইসলাম।

এ মামলার অপর ১০ আসামির মধ্যে লুৎফুর রহমান চৌধুরী ওরফে লুতু ইতোমধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন। অন্যদিকে পলাতক রয়েছেন কথিত যুবলীগ নেতা বশির আহমদ চৌধুরী, ইদ্রিস (পিতা-মৃত সাহেব মিয়া), তারেক, আইউব, মোরশেদুল আলম, আব্দুল মালেক, জসিম উদ্দিন, খায়ের আহমদ ও মো. মোস্তাক।

তবে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, আদালত চলাকালে এজলাসের বাইরে বশির আহমদ চৌধুরীকে দেখা গেছে। অন্য আসামিদের জামিন বাতিলের খবর পেয়ে তিনি দ্রুত আদালত এলাকা থেকে সটকে পড়েন। নিহত আমজাদ চেয়ারম্যানের ছেলে মোহাম্মদ তারেক বলেন, ‘জেলে পাঠানো হবে এটা নিশ্চিত হয়ে আদালতে গিয়েও বশির এজলাসে হাজির হননি। পরে পালিয়ে গেছেন।’

এডভোকেট এসইউএম নুরুল ইসলাম আরও জানান, এই ৯ আসামির মধ্যে কেউ কেউ শুরু থেকেই পলাতক ছিলেন। আবার বশিরসহ কয়েকজন গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছেন। সবার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।

মামলার রায় কখন হতে পারে জানতে চাইলে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এডভোকেট আইয়ুব খান জানান, মামলার রায় লেখা সম্পন্ন হলে আদালত রায়ের তারিখ নির্ধারণ করবেন।

এফএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!