আবার জরিমানা গুণল চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ের খাবারের দোকান ক্যান্ডি। এবার ময়লামাখা খাদ্য উপকরণ ব্যবহার করা ছাড়াও নোংরা পরিবেশে খাবার রান্না করার দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে গুণতে হয়েছে এক লাখ টাকা জরিমানা। এর আগে গত ২২ মে সামাজিক দূরত্ব না মেনে খাবার বিক্রির অপরাধে ক্যান্ডি নামের ওই দোকানটি বন্ধই করে দিয়েছিল পুলিশ।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ের খাবারের দোকান ক্যান্ডিতে অভিযান চালিয়ে দেখতে পান— সেখানে খাদ্য উপকরণ রাখা হয়েছে ময়লামাখা পাত্রে, ফ্রিজে রাখা হয়েছে অস্বাস্থ্যকর খাবার, এমনকি পলিথিন ব্যাগে পাওয়া গেছে রান্না করা মাংস।
হাতেনাতে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ক্যান্ডিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।
একই দিন ভোক্তা অধিকারের অভিযানে মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার সংরক্ষণ ও মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্যের মেয়াদ তুলে ফেলার অভিযোগে দি ইয়াম ইয়াম স্টোরকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া খাবারে সংবাদপত্রের পাতা ব্যবহার ও রান্নাঘরে নোংরা পানি জমে থাকায় জিইসি মোড় এলাকার এশিয়ান কাবাব এন্ড বিরানি হাউসকে ৬ হাজার টাকা এবং উৎপাদন ও মেয়াদবিহীন পণ্য সংরক্ষণ করায় অফটাইম স্ন্যাক্সকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) আকবরশাহ থানা এলাকায় পরিচালিত অপর এক অভিযানে ফয়’স লেকের লাকী হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টকে অননুমোদিত এনার্জি ড্রিঙ্ক সংরক্ষণ করায় ৮ হাজার টাকা জরিমানা করার পর সেগুলো ধ্বংস করা হয় তাৎক্ষণিকভাবে। অন্যদিকে মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করে ভোক্তাদের বেশি দামে খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করায় ফ্রেশ ফুড কর্ণারকে ৮ হাজার টাকা, গোল্ড হিলকে ১০ হাজার টাকা এবং আশা রেস্টুরেন্টকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ্, সহকারী পরিচালক (মেট্রো) জনাব পাপীয়া সুলতানা লীজা এবং চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান।
সিপি