আবারও ৩০০ ছুঁই ছুঁই শনাক্ত চট্টগ্রামে, নগরেই ২২৯

চট্টগ্রামে মহামারী করোনাভাইরাসের দৈনিক শনাক্তের নামতায় এর আগেও তিনবার দেখা গিয়েছিল তিনশতাধিক শনাক্ত। গত ২৪ ঘণ্টায় তিনশর উপরে না হলেও তিনশ ছুঁই ছুঁই ২৯৭ করোনা শনাক্ত মিলেছে চট্টগ্রামে। যাদের ২২৯ জনই নগরের এবং বাকি ৬৮ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার। এই নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা রোগী এখন ১০ হাজার ৪৭৭ জন। যেখানে শুধুমাত্র চট্টগ্রাম নগরেই এই সংখ্যা এখন সাত হাজার ২৮৬ জনে পৌঁছে গেল। অন্যদিকে উপজেলায় করোনা শনাক্ত গিয়ে দাঁড়ালো তিন হাজার ১৯১ জনে। একই সাথে ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৩ জন। যাদের দুজনই নগরের, বাকি একজন উপজেলার। ফলে এখন পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ১৯৮ জন, যাদের মধ্যে ১৪০ জন নগরের ও ৫৮ জন উপজেলার বাসিন্দা। একইসময়ে নতুনভাবে করোনাজয় করেছেন ৪৯ জন। ফলে এ পর্যন্ত করোনামুক্ত হয়েছেন ১ হাজার ২৬৫ জন।

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, চট্টগ্রামের সরকারি চারটি ও বেসরকারি দুটি ল্যাব মিলিয়ে মোট ১৩৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় আরও ২৯৭ জনের দেহে করোনাভাইরাস পজিটিভ পাওয়া গেছে। নতুন শনাক্তদের মধ্যে নগরের ২২৯ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৬৮ জন। একইসাথে চট্টগ্রামে সুস্থ হয়েছেন আরও ৪৯ জন এবং মারা গেছেন তিন জন, যাদের দুজন নগরের ও একজন উপজেলার। এদিন কক্সবাজার ল্যাবে চট্টগ্রামের কোন নমুনার পরীক্ষা হয়নি।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে ১৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ জনের দেহে করোনা পজিটিভ মিলেছে। যাদের মধ্যে ৯ জন নগরের ও ৬ জন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে আগেরদিনের চেয়ে কিছুটা কম নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। সেখানে ২০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে মাত্র ৪৪ জনের শরীরে। যাদের ৩৫ জন নগরের ও ৯ জন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে প্রতিদিনের মতো সর্বাধিক নমুনা পরীক্ষা করা হয়। সেখানে ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড ৫১৫টি নমুনা পরীক্ষা করে দিনের সর্বোচ্চ ১১১ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়, যাদের মধ্যে ৯৪ জন নগরের ও ১৭ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এর আগে চট্টগ্রামের কোন ল্যাবে একদিনে পাঁচশর উপরে নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে আগেরদিনের চেয়ে কিছুটা কম নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মোট ২০১ জনের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন ৫১ জন। যাদের ২৭ জন নগরের ও ২৪ জন উপজেলার।

অন্যদিকে, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৫৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে করোনা পজিটিভ পাওয়া যায় ৪২ জনের। যাদের ৩৫ জন নগরের এবং ৭ জন উপজেলার বাসিন্দা।

গত ২৪ ঘণ্টায় শেভরণ ল্যাবে আগেরদিনের চেয়ে একটু বেশি ১০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়। আক্রান্তদের মধ্যে ২৯ জন নগরের ও ৫ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

এদিন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের কোন নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ৬৮ জনের মধ্যে আবারও সবচেয়ে বেশি রোগী পাওয়া গেছে হাটহাজারী উপজেলায়। সেখানে ২০ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করোনা রোগীর খোঁজ মেলে রাউজানে, ১৩ জন। এছাড়া পটিয়া ও বাঁশখালীতে ৬ জন করে, ফটিকছড়িতে ৫ জন, সীতাকুণ্ডে ৪ জন, লোহাগাড়া ও রাঙ্গুনিয়ায় ৩ জন করে, সাতকানিয়া ও মিরসরাইয়ে ২ জন করে এবং চন্দনাইশে ১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!