আবারও জোড়া মৃত্যু, নমুনা পরীক্ষা হয়নি ৬ ল্যাবে—শনাক্ত কমে ৬৭

সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে চট্টগ্রামের ১২টি এবং কক্সবাজারের ১টি ল্যাবে চট্টগ্রামের করোনা নমুনা পরীক্ষা করা হয়। কিন্তু গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়নি চট্টগ্রামের ৬টি ল্যাবে। তাতে করে স্বভাবতই করোনা শনাক্ত কমে দাঁড়িয়েছে ৬৭ জনে। অথচ, আগের দিনও শনাক্ত ছিল দেড় শতাধিক। তবে এখনো থামছে না করোনায় প্রাণহানি। টানা দ্বিতীয় দিনের মতো আবারও জোড়া মৃত্যু হল চট্টগ্রামে।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত গিয়ে দাঁড়াল ৫৪ হাজার ৮০৭ জনে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৬৩৯ জন।

রোববার (১৩ জুন) সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়। এতে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ৬৭ জনের মধ্যে নগরের ৪৯ জন এবং উপজেলার ১৮ জন।

কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাব ও চট্টগ্রামের ৬টি ল্যাবে ৭৪১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।

এর মধ্যে চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৩৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ২৩ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৫১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ৩ জনের করোনা পজিটিভ আসে।

শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ২৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২১ জনের শরীরে করোনার বিষ পাওয়া যায়।

চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।

মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতালে ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ৬ জনের দেহে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়।

অন্যদিকে, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের একটি নমুনা পরীক্ষায় করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেনি।

এদিন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাব, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাব, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাব, এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাব এবং পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!