আফগানদের জয়রথ ছুটছেই

ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ

আফগানদের জয়ের গাড়ি যেন থামছেই না। বাংলাদেশে আসার পর এখনো পরাজয় কি জিনিস সেটি দেখেনি রশিদ খানরা। প্রস্তুতি ম্যাচ, একমাত্র টেস্ট আর ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে নিজেদের প্রথম ম্যাচে। আর হিসেবটি যদি করা হয় আফগানিস্তান বনাম জিম্বাবুয়ে তাহলে এটি আফগানিস্তানের টানা অষ্টম জয়। সব মিলিয়ে এটি টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানের টানা এগারতম জয়ের বিশ্বরেকর্ড।

ওভাই ত্রিদেশীয় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে জেতার মতো কোনো পরিস্থিতিই ব্যাটিংয়ে তৈরি করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। আফগানিস্তানের ১৯৭ রানের বিশাল রানের জবাবে মুখ থুবড়ে পড়ে তারা শুরুতেই। পাওয়ার প্লে’র মধ্যে নেই শুরুর ৩ উইকেট। থমকে চলা সেই শুরু। শেষমেষ থেমে গেলো জিম্বাবুয়ের ইনিংস ১৬৯ রানে। ২৮ রানে ম্যাচ জিতে টি-টুয়েন্টি সিরিজেও আফগানিস্তানের শুরুটা হলো দাপুটে ভঙ্গিতে। অন্যদিকে টানা দ্বিতীয় ম্যাচ হেরে সিরিজ থেকে ছিটকে পড়ার মুখে জিম্বাবুয়ে।

ম্যাচের মূল পার্থক্য গড়ে দেয় আফগানিস্তান মুলত ঝড়ো ব্যাটিংয়েই। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের বোলিং চুরমার করে দেয় আফগানিস্তান। ওপেনার রাহমানউল্লাহ গুরবাজ ২৪ বলে ৪৩ রান করেন। তবে টি-টুয়েন্টি ব্যাটিং কাকে বলে সেটা হাতে কলমে দেখিয়ে দেন মিডলঅর্ডারে নাজিবুল্লাহ জাদরান ও মোহাম্মদ নবী। দুজনে মিলে পঞ্চম উইকেট জুটিতে যোগ করেন ১০৭ রান। মাত্র ৪১ বলে আসে এই ১০৭ রান।

দুজনেই মিলে ছক্কার ঝড় বইয়ে দেন। সবমিলিয়ে আফগানিস্তানের ইনিংসে ছক্কার সংখ্যা ১৫টি। এক ইনিংসে মিরপুরের শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ ছক্কার নতুন রেকর্ড এটি। ব্যাটিংয়ে দাপট দেখানোর পর আফগানিস্তান বোলিংয়েও ম্যাচ শাসন করে। এত বিশাল রান তাড়া করতে হলে শুরু থেকে চালিয়ে খেলতে হবে-এই পরিকল্পনায় ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ের কোন ব্যাটসম্যানই ব্যাট হাতে ‘বড়কিছু’ করতে পারেননি। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে।

রশিদ খান বোলিং আক্রমণে আসার আগেই জিম্বাবুয়ের শুরুর চার উইকেট নেই। তারপরও বল হাতে আফগান অধিনায়কই ম্যাচের অন্যতম সেরা পারফর্মার। ৪ ওভারে ২৯ রানে ২ উইকেট পান রশিদ। হার যখন প্রায় নিশ্চিত তখন শেষের দিকে রেগিস চাকাভা ও নেভিল মাদজিভা ব্যাট হাতে শেষ চেষ্টা চালান। কিন্তু ততক্ষনে বল ও রানের ব্যবধান অনেক বেশি। ওভারে চাই ১৮ রানের চেয়ে বেশি। সেই ব্যবধান আর ঘুচিয়ে উঠতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। এই সিরিজের জিম্বাবুয়ের ঢাকা পর্ব আপাতত হার দিয়েই শেষ।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ১৯৭/৫ (২০ ওভারে, গুরবাজ ৪৩, জাদরান ৬৯*, মোহাম্মদ নবী ৩৮, চাতারা ২/৫৩, উইলিয়ামস ২/১৬)।
জিম্বাবুয়ে: ১৬৯/৭ (২০ ওভারে, টেলর ২৭, বার্ল ২৫, চাকাভা ৪২*, মাদজিভা ১৫, জারভিস ১৫*, রশিদ ২/২৯, মালিক ২/৩৬, নায়েব ১/৩২)।
ফল: আফগানিস্তান ২৮ রানে জয়ী।
ম্যাচ সেরা: নাজিবুল্লাহ জাদরান।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!