আপন নিবাসের পথে উচ্ছাসিত প্রাণের ঈদ যাত্রা

আপন নিবাসের পথে উচ্ছাসিত প্রাণের ঈদ যাত্রা 1এহসান আল-কুতুবী : মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠানের একটি পবিত্র ঈদুল ফিতর । পুরো একটি বছর অপক্ষো করতে হয় এ দিনটির জন্য । এ দিন যেন সারা জীবনের সবগুলো দু:খ, কষ্ট মুছে প্রাণ উচ্ছাসিত হয়ে উঠে । সবাই ঈদের নামাজ শেষে ধনী-গরিব ভেদাভেদ ভুলে কুলাকুলি করবে । এ দিনে গ্রাম থেকে শহরের অলি-গলি দল বেঁধে ছুটে চলা ঈদ মোবারক জানিয়ে সালামি নিবে, ফিরনি, সেমাই খাবে এ বাড়ি থেকে ওবাড়ি । বছর পর দেখা মেলবে আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধবের ।
কর্মব্যস্ত জীবন ও জীবন চলার পাথেয় নিয়ে ছুটে যেতে হয় নিজ গৃহ ছেড়ে শহর, নগর বন্দরে বা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে । কিন্তু ঠিক ঈদ এলেই আবার ফিরে যেতে হয় আপন নিবাসে । এ ঈদে ভেসে উঠে আমাদের সমাজের শৈশব, কৈশোর ও হারানো দিনের সুখের সময় । তাই, বাড়ি ফেরা । ফিরতেই হবে । যেখান থেকে যেভাবে সম্ভব ।
তেমনি ছুটছে মানুষ বাস, লঞ্চ, ট্রাক, ট্রেন, বিমানে বা নিজের প্রাইভেট গাড়িতে করে । কেননা, ঈদ হবে, আনন্দ হবে, গৈ হুল্লাশ হবে । দেখা হবে গ্রামের সাদামাটা মানুষগুলোর সাথে ।
এমন একটি দিনের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ির টানে আপন নিবাসে ফিরতে শুরু করেছে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের মানুষ।
শনিবার সকাল থেকে নগরীর রেল, বাস স্টেশনগুলোত প্রচুর ভিড় লক্ষ করা গেছে। যে যেভাবে পারছে শহর ছাড়ছে। নগরীর জনস্রোত গিয়ে মিলিত হচ্ছে অলংকার মোড় ও রেল স্টেশনে।

পথে পথে ভোগান্তি তবুও যেতে হবে গন্তব্যে। তারপরও ছুটছে মানুষ নাড়ির টানে, প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদুল ফিতর উদযাপনে। বাস, ট্রেন, লঞ্চ- যে, যেভাবে পারছেন পরিবার নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছেন বাড়ির পানে।.

একাধিক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়ক পথে ভোগান্তির কারণে নিরাপদ বাহন হিসেবে ট্রেনকে বেছে নিয়েছেন অনেকে। অনেককেই ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনের ছাদের ওপর চেপে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে রেলওয়ে জিআরপি থানার ওসি এস এম শহীদুল ইসলাম বলেন, রেল স্টেশন এলাকায় সবধরনের নিরাপত্তায় আমরা কাজ করছি। যাত্রী সেবা নিশ্চিত করতে সব ধরনের তৎপরতা অব্যাহত আছে।

ট্রেনে ছাদে যাত্রী পরিবহনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদে অনেক সময় ট্রেনের ভেতরে জায়গা না হওয়ায় অনেকেই ছাদে করে গন্তব্যস্থলে যান। এক্ষেত্রে অনেক সময় আমাদের দেখা ছাড়া কিছু করার থাকে না। প্লাটফর্মের প্রবেশমুখে আমরা প্রতিটি যাত্রীকে মেটাল ডিটেক্টকর দিয়ে চেক করে তারপর প্রবেশ অনুমতি দিচ্ছি। এছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তায় এবার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেইসঙ্গে তাদের হাতে সচেতনতামূলক লিফলেটও বিতরণ করছি।
.শনিবার সকাল থেকে নগরীর দামপাড়ার গরীবুল্লাহ শাহ মাজার সংলগ্ন কাউন্টার, কদমতলীর বিআরটিসি, একে খান, অলংকার এলাকার বাস কাউন্টারগুলোতে মানুষের ভিড় লক্ষ করা গেছে। কদমতলীর হানিফ এন্টারপ্রাইজের টিকেট বিক্রেতা মো. কামাল বলেন, ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানজটের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে কাউন্টারে ফিরতে পারছে না কোনো বাস। এতে করে যাত্রীদের কিছুটা ভোগান্তি হচ্ছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!