নিজস্ব প্রতিবেদক : সমাজের ক্ষতি করবে এমন কিছু লেখা থেকে দূরে থাকতে সাংবাদিকদের অনুরোধ জানিয়ে সংসদ সদস্য ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘আপনাদের যে কলম আছে তা যেন সত্য লিখে।সৎ সাহস নিয়েই আপনাদের লেখা উচিত।’
বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের (পিআইবি) উদ্যোগে ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সহযোগিতায় আয়োজিত চট্টগ্রামের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সহ-সম্পাদকদের জন্য বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) পিআইবি’র মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীরের সভাপতিত্বে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রত্রিকা দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক।
অনুষ্ঠানে পিআইবির মহাপরিচালকের কাছে স্বাধীনতার পরদিন (১৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত দৈনিক আজাদীর একটি কপি তুলে দেন পত্রিকাটির সম্পাদক এম এ মালেক। এটি পিআইবিতে সংরক্ষণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সহ সভাপতি শহীদ উল আলম, যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী, নির্বাহী সদস্য আসিফ সিরাজ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শুকলাল দাশ, সিইউজের সিনিয়র সহ সভাপতি রতন কান্তি দেবাশীস, সহ সভাপতি নিরুপম দাশগুপ্ত প্রমুখ।পিআইবি’র মহাপরিচালকের হাতে স্বাধীনতার পরদিনের দৈনিক আজাদীর সংখ্যা তুলে দিচ্ছেন পত্রিকার সম্পাদক
সিইউজে’র সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আর রাজী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ফারুক ইকবাল, পিআইবির প্রশিক্ষক রাফিজা রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী তার দায়িত্বপালনকালীন সময়েই কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেবার কথা জানান।পাশাপাশি তিনি সকল সাংবাদিককে এক প্লাটফর্মে এনে আবাসন সংকট নিরসনের বিষয়েও আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক বলেন, ‘পৃথিবীতে সবকিছু জানে এরকম লোক নেই। যতো জানবেন ততো শিখবেন।সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ নয়, সত্যনিষ্ঠ হওয়া উচিত।’
সভাপতির বক্তব্যে পিআইবি’র মহাপরিচালক মো. শাহ আলমগীর বলেন,‘যেকোন পত্রিকায় ভালো রিপোর্টার থাকতে পারে, দামি সাংবাদিক থাকতে পারে, কিন্তু পত্রিকায় যদি ভালো সহ-সম্পাদক না থাকে তাহলে পত্রিকা কখনও ভালো হবে না।তাই পত্রিকার জন্য ভালো সম্পাদক থাকায় জরুরি।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলের জন্য দুই লাখ টাকার চেক দেন ।