আনোয়ারায় প্রথমবারের মত বেগুনি রঙের ধান চাষ

বাম্পার ফলনে কৃষকের হাসি

প্রথমবারের মতো চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চাষাবাদ হয়েছে বেগুনি রঙের উচ্চ ফলনশীল ধানের। বৃহস্পতিবার (১৪ মে) থেকে এসব ধান মাড়াইও শুরু করেছেন চাষিরা। এবার আনোয়ারার চার গ্রামের চারজন চাষি পরীক্ষামূলক দুই একর জমিতে এ ধান ফলিয়েছেন। ভাল ফলনে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটেছে।

উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, আনোয়ারা উপজেলার চাতরী, শোলকাটা, বরুমচড়া ও বটতলী গ্রামের চারজন চাষি এবার ২ একর জমিতে এ ধান ফলিয়েছেন। এসব ধান বৃহস্পতিবার থেকে মাড়াই শুরু করেছেন চাষিরা। এ ধানের জীবনকাল ১৪৫ থেকে ১৫৫ দিন এবং ফলন একরে ৫৫ থেকে ৬০ মণ। যা আনুমানিক শতাংশে ২০ কেজি (৪ থেকে ৫ টন প্রতি হেক্টরে) হতে পারে। এ ধানের চাল বেগুনী ও সুস্বাধু।

চাতরীর চাষি মোহাম্মদ সোহেল বলেন, আমি ২০ শতক জমিতে এ ধান লাগিয়েছি, ফলনও ভালো হয়েছে। আশা করছি অনেক লাভ পাবো।

তিনি আরও বলেন, ধানের চারাগুলি একটু বড় হবার পর বেগুনী রঙ ধারন করার পর প্রতিদিন মানুষ ভিড় করে আমার খেতে। অনেকে এসে ছবি তোলেন আর নানান প্রশ্ন করে জানতে চায় কোথায় পেয়েছি এ ধানের বীজ, কিভাবে চাষ করছি এসব।

আনোয়ারা উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সরওয়ার আলম বলেন, সৌন্দর্য ও পুষ্টিগুণে ভরপুর এ ধান। গাছের রঙ বেগুনী হলেও ধানের গায়ের রং সোনালী। উফশি জাতের এ ধান রোগমুক্ত ও পোকামুক্ত। ফলনও বেশি হয়। অন্যসব ধানের তুলনায় এ ধান মোটা আর পুষ্টিগুনও অনেক বেশি।

আনোয়ারা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান বলেন, পার্পল লিফ রাইস আনোয়ারায় এবার প্রথম চাষ হলো। চাষিরা যখন দেখবেন এর ফলন ভাল, খেতে স্বাদ এবং পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ, তখন তাঁরা নিজেরাই উদ্যোগ নিবে এ ধান চাষে। এ ধানের চাষাবাদের বিস্তৃতি বাড়াতে কৃষকদেরকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!