আনোয়ারায় ক্ষুধার জ্বালা মেটাতে লোকালয়ে নেমে আসছে বুনো হাতি

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ক্ষুধার জ্বালায় খাবারের সন্ধানে পাহাড় থেকে লোকালয়ে নেমে আসছে তিনটি বুনো হাতি। আগে হাতিগুলো রাতে বের হয়ে আসলেও এখন দিনেও লোকালয়ে বেড়িয়ে আসছে। গত কয়েকদিন ধরে কেইপিজেড এলাকায় দিনে হাতিগুলোকে দেখা যাচ্ছে। এতে আতংক ছড়াচ্ছে গোটা এলাকাজুড়ে।

জানা গেছে, গত দুই বছরে আনোয়ারা ও কর্ণফুলী উপজেলায় প্রায় ১৮ জন হাতির আক্রমণে নিহত হয়েছেন। শতাধিক বাড়িঘর ভাংচুরসহ ২৬ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

তবে স্থানীয়রা বলছেন, দেয়াং পাহাড়ের বন উজাড় করে মিল-কারখানা স্থাপনের ফলে এসব বন্য প্রাণী খাবার সংকটে পড়ে বাধ্য হয়ে লোকালয়ে ঢুকছে। এভাবে বন, পাহাড় উজাড় করতে থাকলে একসময় এসব প্রাণী হারিয়ে যাবে।

স্থানীয় মো. আব্দুল কুদ্দুস (৬০) বলেন, ‘আজ থেকে ২০ বছর আগেও দেয়াং পাহাড়ের এসব হাতি কোনোদিন লোকালয়ে আসেনি। কারণ যখন বন, জঙ্গল, পাহাড় ছিল এদের খাবার কিংবা বসবাসের কোনো অসুবিধা হয়নি তাই লোকালয়ে আসেনি। দেয়াং পাহাড়ে কেইপিজেডের ২২টি শিল্পকারখানা স্থাপনের পর থেকে এসব হাতি খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে আসতে শুরু করে। এসব কারখানার কারণে বিভিন্ন বন্যপ্রাণী এখন বিলুপ্তির পথে। এখন আবার হাতিগুলো দিনের বেলায় বের হয়ে আসছে। স্থানীয় লোকজন এবং কেইপিজেড’র সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকা লোকজন আতংকের মধ্যে রয়েছে।’

এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম ইয়াসিন নেওয়াজ বলেন, ‘বন, পাহাড় উজাড়ের কারণে এসব প্রাণীগুলো হারিয়েছে বসবাসের স্থান। ফলে তৈরি হয়েছে খাবার সংকট। তাই তারা লোকালয়ে নেমে আসছে।

বিষয়টি অনেক আগে থেকেই আমরা অনুভব করেছি। আনোয়ারায় হাতিগুলো লোকালয়ে আসার বড় কারণ হচ্ছে দেয়াং পাহাড় কেটে উজাড় করা। তবে এসব প্রাণীদের সংরক্ষণে আমরা একটা মেগা পরিকল্পনা নিয়ে আগাচ্ছি।

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!