চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সরকারি প্রণোদনায় বরাদ্দকৃত প্রথম স্বয়ংক্রিয় ধান কাটা ও মাড়াই যন্ত্রে (কম্বাইন্ড হারভেস্টার) বাণিজ্যিকভাবে ধান কাটা শুরু হয়েছে।
সোমবার (৪ মে) সকালে উপজেলার বারখাইন ইউনিয়নের শোলকাটা বিলে করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকটে পাঁকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে উদ্বিগ্ন মোহাম্মদ শরিফ (৫০) নামের এক কৃষকের ধান কেটে দেয়ার মধ্য দিয়ে চলতি বোরো মৌসুমে এ স্বয়ংক্রিয় ধান কাটা ও মাড়াই যন্ত্রে ধান কাটার উদ্বোধন করা হয়।
কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিনের বাজার মূল্য ২৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে সরকারিভাবে ভর্তুকি দেওয়া হয়েছে ১৪ লাখ টাকা। বাকি ১৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা পূরণ করে এ মেশিন কিনে নেন শোলকাটা গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ মোস্তাক উদ্দিন।
ধান কাটার সময় উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক আখতারুজ্জামান, আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ জোবায়ের আহমেদ, উপজেলা কৃষি অফিসার হাসানুজ্জামান, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা জামিরুল ইসলাম, আনোয়ারা সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অসিম কুমার দেব, বারশত ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম.এ কাইয়ূম শাহ্, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ফরিদ হোসাইন, তথ্য সার্বিক কর্মকর্তা আবু কাউসার, উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা সরোয়ার আলম।
উপজেলা কৃষি অফিসার হাসানুজ্জামান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, এ কম্বাইন্ড হারভেস্টার মেশিন ঘণ্টায় ১ একর জমির ধান কাটতে সক্ষম। এটি দিয়ে ধান ছাড়াও গম ও ভূট্টা কাটা, মাড়াই ও ছাটা সম্ভব। কৃষক মোহাম্মদ শরিফ নিজের ফসল কাটা শেষে ভাড়ায় এ মেশিনে অন্যের জমির ফসল কাটতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে একর প্রতি তিনি মেশিন ভাড়া বাবদ ৮ হাজার টাকা নিতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, শ্রমিক দিয়ে একই পরিমাণ জমির ধান কাটায় খরচ পড়বে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। করোনা প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে ধান কাটার শ্রমিক সংকটের মুহুর্তে উপজেলায় ধানকাটায় কৃষকরা উপকৃত হবে।
এসএইচ