আনোয়ারায় আট বসতঘরে হাতির তাণ্ডব, ভয়ে এলাকাবাসীর নির্ঘুম রাত

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় বন্যহাতি তাণ্ডব চালিয়ে আট বসতঘরের দেয়াল ভেঙে দিয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নের মধ্যম গুয়াপঞ্চক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, রাত ১২ টার পর একটি হাতি মধ্যম গুয়াপঞ্চকের আবদুল কাদের, জালাল আহমেদ, জাগির আহমেদ, মোহাম্মদ ইদ্রিছ, আবদুল খালেক, আবদুল হক, মোহাম্মদ আলমগীর ও হাসান আলীর ঘরের দেয়াল ভেঙে দেয়। হাতি রাতভর বাড়িগুলোর গাছ, দরজা, দেয়াল, রান্নাঘর ভেঙে আসবাবপত্র তছনছ করে। পাশাপাশি জালাল আহমদের ঘরের তিন বস্তা ধান ছিটিয়ে দেয়। ভয়ে আতঙ্কিত লোকজন দুটি পাকা ঘরের ছাঁদে উঠে অবস্থান নেয়। হাতিটি ফজরের আজানের পর পাহাড়ে উঠে গেলে লোকজন ঘরে ফিরে।

গত এক বছরে আনোয়ারায় বন্যহাতির আক্রমণে তিনজন নিহত হয়েছেন। বিভিন্ন সময়ের হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত দশজন। হাতির আক্রমণে শতাধিক বসতঘরের ক্ষতি হয়েছে। বন বিভাগ আর প্রশাসন হাতি তাড়াতে ব্যর্থ হওয়ায় বারবার একই ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

বৈরাগ ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা ছকিনা আখতার কসুম বলেন, ‘প্রতিদিন সন্ধ্যা হলে বাড়িতে ঢুকে যায় হাতি। ভয়ে রাত কাটাতে হয় পুরো এলাকাবাসীকে। রোববার রাত থেকে ভোররাত চারটা পর্যন্ত আমরা ছাদে ছিলাম। ওই সময় হাতির তাণ্ডব চোখে দেখেছি। হাতি তাড়ানোর জন্য প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আ ন ম ইয়াসিন নেওয়াজ বলেন, ‘বন্যহাতি জোর করে সরিয়ে নেওয়া যায় না। তাই ঘরগুলো পাহারায় রাখতে হয়। হাতিগুলো স্বাভাবিকভাবে ফিরে যাবে। যখন ফিরে যাবে, তখন হাতিগুলো যাতে আর না আসে সে চেষ্টা করা হবে।’

জানতে চাইলে বৈরাগ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘হাতির তাণ্ডবে এলাকার লোকজনের ঘুম নেই। আজ এই বাড়ি, কাল ওই বাড়িতে। লোকজনের কষ্টের শেষ নেই।’

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, ‘হাতির তাণ্ডবে আটটি বসতবাড়ি ক্ষতি হওয়ার খবর শুনেছি।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!