আনোয়ারার সিইউএফএল নিয়ে জাপানের দুয়ারে শিল্পমন্ত্রী

দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ সার কারখানা চিটাগং ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড (সিইউএফএল) এর রিয়েক্টারে কারিগরি সমস্যা সমাধান, আধুনিকায়নসহ এ ফ্যাক্টরি সংস্কারে জাপানের সহযোগিতা চেয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত নাওকি ইতো শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সাথে সাক্ষাৎ করতে এলে এই সহায়তা চান মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, জাপানি টয়ো ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন নির্মিত এ কারখানা দীর্ঘদিন ধরে ইউরিয়া সার উৎপাদন করে আসছে। রিয়েক্টারে কারিগরি সমস্যা থাকায় কারখানাটিতে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। সিইউএফএল নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন চালু রাখতে এ ফ্যাক্টরির সংস্কারে জাপানের সহযোগিতা দরকার।

১৯৮৭ সালের ২৯ অক্টোবর জাপানের টয়ো ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনের কারিগরি সহায়তায় কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে আনোয়ারার রাঙ্গাদিয়ায় সার কারখানাটি প্রতিষ্ঠা করে সরকার। স্থাপনের পর থেকে একনাগাড়ে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত সিইউএফএলের উৎপাদন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক ছিল। ১৯৯৬ থেকে গ্যাস সংকট সিইউএফএলের জন্য বিপদ ডেকে আনে। বার বার গ্যাস সংকটের কারণে গ্যাসনির্ভর দেশের বৃহত্তম সার কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ রাখতে হয়। এ কারণে ১৯৯৭ থেকে কারখানায় নানা ধরণের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ঘন ঘন গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় মাসের পর মাস উৎপাদন বন্ধে যন্ত্রাংশে ত্রুটি দেখা দেয়। রিয়েক্টারে লিকেজ দেখা দেয়।

২০০৮ সালে জাপানের টয়ো ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশন (টিইসি) কারখানার ইউরিয়া রিয়েক্টার প্রতিস্থাপনের সুপারিশ করলেও গত সাত বছরেও তা করা হয়নি। অথচ একটি নতুন রিয়েক্টারের ক্রয়মূল্য ১০০ কোটি টাকা। আর মেরামত করতে লাগে মাত্র ২০ কোটি টাকা।

এসময় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও জাপান দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এআরটি/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!