আদালতে গিয়ে চট্টগ্রামের অর্জুন প্রমাণ করলেন তিনি জীবিত, ভোটে দাঁড়াতে বাধা নেই

নির্বাচনে অংশ নিতে গিয়ে জানতে পারেন তিনি মৃত। ভোটার তালিকায় তার নামের ওপর রয়েছে কাটা দাগ। বলা হয়, ২০১২ সালের ২৫ মার্চ মারা গেছেন তিনি। তাই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। এরপর শুধু নির্বাচনে অংশ নিতেই নয়, তিনি যে বেঁচে আছেন সেটা প্রমাণ করতে তাকে দ্বারস্থ হতে হয় হাইকোর্টের।

তিনি অর্জুন দাশ। চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার ধুম (৪নং) ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড ধুম গ্রামের মৃত সুধীর চন্দ্র দাশের পুত্র। আইনী লড়াই শেষে আদালত আদেশে জানালো, অর্জন জীবিত, তাকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে। হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও মুস্তাফিজুর রহমানের দ্বৈত বেঞ্চ রোববার (২৪ অক্টোবর) শুনানি শেষে অর্জুন দাসকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে নির্বাচন কমিশনকে আদেশ দেন।

জানা গেছে, ৪নং ধুম ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৯নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে (মেম্বার) পদে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন অর্জুন চন্দ্র দাশ। নির্বাচনী এলাকার ভোটার তালিকার কপি (সিডি) সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখেন সেখানে তিনি মৃত। তালিকায় ২০১২ সালের ২৫ মার্চ অর্জুন মারা গেছেন বলে উল্লেখ রয়েছে।

এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিব বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন অর্জুন। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়পত্র জমা নিলেও ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় ২১ অক্টোবর তা বাতিল করেন। পরে অর্জুন প্রার্থীতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন।

অর্জুন চন্দ্র দাশ বলেন, আমার জাতীয় পরিচয়পত্র, পাসপোর্ট, ওয়ারিশ সনদ, চারিত্রিক সনদ, ব্যবসায়িক ট্রেড লাইসেন্স, স্থানীয় চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র, ট্যাক্স আদায়ের রশিদ ও ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জীবিত লেখা রয়েছে। আমি সব ধরনের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। শুধু তাই নয় ২০১৭-২০১৮ সালে চিকিৎসার জন্য ভিসা নিয়ে ভারতে আসা যাওয়া করেছি। অথচ ভোটার তালিকায় ২০১২ সালের ২৫ মার্চ আমি মারা গেছি উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর আমি হাইকোর্টে মামলা করলে হাইকোর্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণের আদেশ দিয়েছেন।

হাইকোর্টে অর্জুনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক এডভোকেট সাইফুর রহমান। তাকে সহায়তা করেন এডভোকেট কাইয়ুম হোসেন নয়ন ও এডভোকেট উম্মে সালমা প্রমুখ।

মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারুক হোছাইন বলেন, ভোটার তালিকায় নাম না থাকায় অর্জুন দাসের মনোনয়পত্র বাতিল করা হয়েছে। হাইকোর্টের কোন আদেশ এখনো আমার কাছে আসেনি। আদেশের কপি হাতে আসলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!