আত্মহত্যার প্ররোচণাকারীদের শাস্তির দাবি স্কুলছাত্র দুর্জয়ের বাবা-মায়ের

চট্টগ্রামের আনোয়ারার কৈনপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী দুর্জয় দাশের আত্মহত্যায় প্ররোচণাকারীদের শাস্তির দাবিতে আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন তার বাবা-মা।

মঙ্গলবার (৭ জুলাই) বিকালে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুধাংশু চন্দ্র দেবনাথ, অফিস সহকারী অনুপম পাল ও পরিচালনা পরিষদের সভাপতি রঘুপতি সেনকে অভিযুক্ত করে এ আবেদন করেন দুর্জয়ের বাবা মিলন জলদাশ ও মা রাসনা জলদাশ।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কৈনপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী দুর্জয় দাশ ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত এ বিদ্যালয়ে লেখা পড়া করে আসছেন। জেএসসি পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে তার জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী বয়স ১৩ দিন বেশি হওয়ায় বিদ্যালয় থেকে বয়স সংশোধন ছাড়া রেজিস্ট্রেশন করা যাবে না একথা বলার পর দুর্জয় দাশ তার জন্ম নিবন্ধন সংশোধনের জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিস, চাতরী ইউনিয়ন তথ্য সেবাকেন্দ্রে ও নিজ বিদ্যালয়ে কয়েকদিন ঘোরাঘুরি করেও সংশোধন করতে না পেরে গত ২৯ জুন নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।

ঘটনার পর দুর্জয়ের সহপাঠী ও স্থানীয় লোকজন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ আত্মহত্যায় প্ররোচণাকারীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ৩ জুলাই বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি জরুরি সভা করে দুর্জয়ের আত্মহত্যার দায়ভার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নেবে না বলে ঘোষণা দিয়ে প্রধান শিক্ষকসহ বহিরাগত লোকজন নিয়ে মানববন্ধনকারিদের গালিগালাজ ও ঘটনার বিচার চেয়ে টাঙানো ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। অভিযোগে দুর্জয়ের আত্মহত্যার পরিবেশ সৃষ্টিকারী হিসেবে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুধাংশু চন্দ্র দেবনাথ, অফিস সহকারী অনুপম পাল ও পরিচালনা পরিষদের সভাপতি রঘুপতি সেনকে দায়ী করে আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে ঘটনা তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আবেদন করেন।

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!