আত্মস্বীকৃত খুনিদের বড় পদে পদায়ন করেন জিয়াউর রহমান

চট্টগ্রাম জেলা নির্মূল কমিটির সভায় মন্ত্রী মোজাম্মেল

সদ্য স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী জননেতা আ.ক.ম মোজাম্মেল হক এমপি বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নামে কুলাঙ্গারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার খলনায়ক অভিহিত করে বলেছেন, যে আদর্শ ও চেতনা প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছিলাম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতার নৃশংস হত্যাকান্ডের পর তা আমরা ধরে রাখতে পারিনি। ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর স্বৈরশাসক ও সামরিকতন্ত্রের উত্থান ঘটে। এ সময়ে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চক্র মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও চেতনাকে বারবার বিকৃত ও বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালায়।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়াউর রহমান প্রথমে আত্মস্বীকৃত খুনিদের বড় পদে পদায়ন করেন। বিদেশি দূতাবাসে নিয়োগ দেন। যারা প্রত্যক্ষ স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তাদের মন্ত্রিসভার সদস্য করলেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার যাতে না হয় সে জন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করলেন’।

১৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি চট্টগ্রাম জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা এবং নবনির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদ (২০১৯-২১)-এর পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক লেখক-সাংবাদিক শওকত বাঙালির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা নির্মূল কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ গবেষণা কেন্দ্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান, স্বাধীনতা সংগ্রামী জহুর আহমদ চৌধুরীর সন্তান শরফুদ্দীন চৌধুরী রাজু ও জসিম উদ্দিন চৌধুরী, স্লোগান সম্পাদক মোহাম্মদ জহির।

আলোচনায় অংশ নেন নবনির্বাচিত জেলা সভাপতি প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার, সহ-সভাপতি স্বপন সেন, দীপঙ্কর চৌধুরী কাজল, মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ মইনুদ্দিন, মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মিলি চৌধুরী, মো. হেলাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর রেখা আলম চৌধুরী, সহ-সাধারণ সম্পাদক অলিদ চৌধুরী, হাবিব উল্লাহ চৌধুরী ভাস্কর, এ.কে.এম জাবেদুল আলম সুমন, আবু সাদাত মো. সায়েম, আবদুল মান্নান শিমুল, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম খাঁন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন চৌধুরী, মো. সাহাব উদ্দিন, অসিত বরণ বিশ্বাস, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রুবা আহসান, সহ মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সূচিত্রা গুহ টুম্পা, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আলাউদ্দিন বাবু, প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক সনেট চক্রবর্ত্তী, সহ-প্রচার ও গণমাধ্যম সম্পাদক রুবেল চৌধুরী, প্রকাশনা সম্পাদক মনজুর হোসাইন, সহ-প্রকাশনা সম্পাদক মো. জয়নাল আবেদিন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এ.টি.এম ওসমান গণি, আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলহাজ্ব সৈয়দ কামাল উদ্দীন, সহ-আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট রক্তিম বিশ্বাস, শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ড. মোজাহেরুল আলম, সহ-শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ওয়াহেদ রাসেল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রাজীব চৌধুরী, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক রুবেল আহমেদ বাবু, দফতর সম্পাদক মো. রুবায়েত হোসেন, সহ-দফতর সম্পাদক ইমরান আহমেদ, সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল হোসেন। কার্যনির্বাহী সদস্য ফয়সাল চৌধুরী, এম. হামিদ হোছাইন, জেড.এ.এম রুকনুজ্জামান রোকন, মো. রাসেল, আব্দুল কাদের, মো. আলমগীর, আখতার হোসেন, মোহাম্মদ হাসান, ইমরান হোসেন ইমু, নাছিমা আকতার, মরিয়ম আক্তার মুক্তা, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. আকতার.উজ.জামান, আবু সুফিয়ান, আকিব জাবেদ, মোস্তাক আহমেদ মুরাদ, আবদুল্লাহ মুহিত, আবদুল হাকিম, সঞ্জয় দত্ত, ইব্রাহিম মুন্না, দিপু বড়ুয়া প্রমুখ।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক নাজমুল সাদেকী, আহমেদ কুতুব, সাজ্জাদ হোসেন তালুকদার, খোকন, মো. আনিস, মো. ওমর ফারুক, মোহাম্মদ নুর উদ্দীন, মো. জাহেদুল আলম, মো. সেলিমুল হক, মো. ইরফান খাঁন, জোবায়ের আলম খান তুহিন, মোক্তার হোসেন রাজু, রুপন কুমার বড়ুয়া, মো. আনোয়ার হোসেন, লিটন দাশ, সুমি চৌধুরী, অধরা রোদসী, মো. সায়েম চৌধুরী, মো. শাহাব উদ্দীন মহিন ।

সভাপতির বক্তব্যে শওকত বাঙালি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি আমাদের উন্নয়নের ধারা ব্যাহত করতে এবং সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে ধর্মের নামে হত্যা ও সন্ত্রাসের মাধ্যমে পবিত্র ইসলাম ধর্মকে কলঙ্কিত করতে চাইছে। জঙ্গিবাদ, মৌলবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আজ প্রশংসিত হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পরমতসহিষ্ণুতা আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের শ্রেষ্ঠ উপাদান। কোনও অপশক্তি আমাদের সেই গৌরবময় অর্জনকে ম্লান করতে পারবে না।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!