আত্মসাতের মামলা হবে সীতাকুণ্ডের মেয়রসহ প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে

ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিনা টেন্ডারে প্রকল্পের কাজ দেখিয়ে ৬২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে সীতাকুণ্ড উপজেলার বর্তমান মেয়র ও সংশ্লিষ্ট এক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে মামলা হবে বলে জানিয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে পৌরসভার মেয়র ও প্রকৌশলীকে জিজ্ঞাসাবাদ ও নথিপত্র যাচাই-বাছাই করার পর এসব তথ্য জানান দুর্নীতি দমন কমিশনের জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপসহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন। এতে যাচাই-বাছাই শেষে ১৯টি প্রকল্পের মধ্যে ৪টি প্রকল্পের অনিয়মের সত্যতা পাওয়া যায়।

দুদকের উপসহকারী পরিচালক আরও বলেন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে চারটি প্রকল্পের কাজ বিনা টেন্ডারে কাজ ভাগিয়ে নেন উপজেলার মেয়র। সেখানে ৪টি প্রকল্প থেকে ১৯ লাখ টাকার অনিয়ম করা হয়েছে। এতে সংশ্লিষ্ট এক প্রকৌশলীর অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকারও প্রমাণ পাওয়া গেছে। দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশ মোতাবেক শীঘ্রই এ ব্যাপারে মামলা দায়ের হবে।

উল্লেখ্য, ৯ জানুয়ারি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড পৌরসভা এলাকায় চারটি প্রাক্কলিত প্রকল্পের কাজ বিনা টেন্ডারে দেওয়ার অভিযোগে অভিযান পরিচালনা করেন দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ সহকারী পরিচালক রতন কুমার দাশ, উপসহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন ও উপসহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের এনফোর্সমেন্ট টিম।

এতে সরকারি উন্নয়ন সহায়ক তহবিলের ৪টি প্রকল্প থেকে ৬২ লাখ টাকা ১১ হাজার ৯৮৯ টাকা আত্মসাতের তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা হয়। আত্মসাতের এ ঘটনায় মেয়রের সহযোগী ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামসুল আলম আজাদ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দিদারুল আলম এপোলোর জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া যায়।

মুআ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!