আত্মসমর্পণের পর সানি হত্যা মামলার দুই আসামি কারাগারে

জাকির হোসেন সানি হত্যা মামলার এজহারভুক্ত দুই আসামি আনিসুর রহমান ও মো. মামুনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। উচ্চ আদালত থেকে নেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওসমান গণির আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) কাজী সাহাব উদ্দিন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, জাকির হোসেন সানি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি আনিসুর রহমান ও মামুন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছিলেন। জামিনের মেয়ার শেষ হলে বৃহস্পতিবার তারা সিএমএম কোর্টে আত্মসমর্পণ করে। আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, ২৬ আগস্ট নগরীর জাকির হোসেন সড়কের এমইএস কলেজের সামনে ছুরিকাঘাতে খুন হন জাকির হোসেন সানি। পরদিন সানির বড় বোন মাহমুদা আক্তার বাদি হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ করে খুলশী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।

আনিস ও মামুন ছাড়া সানি হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত অন্যান্য আসামিরা হলেন- সৌরভ ঘোষ, সৈয়দ সাফাত কায়সার, রবিউল, তুষার ও আয়াতুল হক।

পরিবারের পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলায় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের পাশাপাশি প্রেমঘটিত বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়। তবে পুলিশ স্পষ্টই জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ড প্রেমঘটিত নয়, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব থেকেই ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ডের আগে আসামি আনিস ও তার অনুসারীদের সাথে সানিদের কথা কাটাকাটি এবং ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছিল।

আনিস, আয়াতরা ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রসংসদের জিএস আরশাদুল আলম বাচ্চুর অনুসারী। নিহত জাকির হোসেন সানি ও তার সহযোগীরা ভিপি ওয়াসিম উদ্দিনের অনুসারী।
নিহত সানি অপরাধ তদন্ত সংস্থা সিআইডির চট্টগ্রাম অঞ্চলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কুতুব উদ্দীনের শ্যালক। সানি নিহত হওয়ার পর সিআইডির একটা টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করছে বলে জানা গেছে।

এফএম/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!