আড্ডা স্মৃতিচারণায় চবিতে বনবিদ্যার পুরনো শিক্ষার্থীরা

বিশ্বসংস্থায় বাংলাদেশ একটি বিস্ময় : তথ্যমন্ত্রী

আনন্দ আড্ডা আর স্মৃতিচারণে অতীতে ফেলে আসা দিনকেই যেন ফিরে পাওয়া নতুন করে, ফিরে দেখা জীবনের সেই উত্তাল সময়।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের পুনর্মিলনীতে নানা আয়োজনে মিলেছিলেন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

কোরাসে শাটলের গান, শাটল ট্রেনের প্রতিকৃতিতে বসে ছবি তোলা- এ রকম নানা কর্মকাণ্ডে মুখর ছিলেন নানা বয়সের সাবেকরা। সবাই যেন ফিরে যান ছাত্রজীবনের সেই উচ্ছ্বল দিনগুলোতে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, এমন সুন্দর প্রকৃতির শোভা পৃথিবীর খুব কম বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। প্রকৃতি নিজের কোলে লালন করছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ঘনবসতিপূর্ণ ছোট দেশ। প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১১শ লোক বসবাস করে। তবুও বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এটা বিশ্বখাদ্য সংস্থার কাছে একটি বিস্ময় ও কেস স্টাডি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠান প্রকৃতির প্রতি খেয়াল করে না। আমি অবাক হয়ে যায়, দেড় থেকে দুই বছর আগে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মতো একটি প্রতিষ্ঠান এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন্স এর পাশে রাস্তা নির্মাণ করতে গিয়ে ৩০০ ফুট পাহাড় কেটে ফেলছে। বিষয়টি আমাকে খুব পীড়া দিয়েছে। সরকারি, বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানকে প্রকৃতির প্রতি যত্নশীল হতে হবে।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ইনিস্টিটিউট প্রাঙ্গণে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও নেদারল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহাম্মদ বেলাল।

এতে সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার। বিশেষ অতিথি ছিলেন সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান।

শুভচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রফেসর গিয়াস উদ্দীন আহমেদ, মোহাম্মদ মহিউদ্দীন প্রমুখ।

চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে অন্যরকম। এটা সবুজ, শ্যামল, ছোট ছোট পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত। এর প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য, স্বকীয়তা বজায় রেখে উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হবে। আমরা আমাদের সিনিয়র শিক্ষক ও যারা এসব বিষয় বুঝেন, তাদের নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করেছি, তা শীঘ্রই সাবমিট করা হবে।

সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মতিউর রহমান বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শান্তিরক্ষা মিশনে ১ নম্বর দেশ। বিভিন্ন দুর্যোগে সবার আগে ছুটে আসে সেনাবাহিনী। শিক্ষা ক্ষেত্রেও এই বাহিনী অনন্য অবদান রেখে চলেছে। সেনাবাহিনী বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতেও সম্পৃক্ত।

এ সময় তিনি ইনিস্টিটিউটের উদ্যোগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে গৃহীত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে নিজেদের সম্পৃক্ত করার ঘোষণা দেন। একইসাথে নিজেদের নার্সারি থেকে বিভিন্ন প্রজাতির ২ হাজার গাছ প্রদানের ঘোষণা দেন।


এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!