আটা ময়দা বিষাক্ত কেমিক্যালে ‘ওষুধ’ বানিয়ে বাজারে দিতো লোভনীয় মোড়কে

চট্টগ্রাম নগরীতে আটা ময়দা ও বিষাক্ত কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরি করা একই ওষুধ বিভিন্ন নামে বাজারজাত করার দায়ে এক ভেজাল কারখানার মালিককে আটক করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ। নগরীর চান্দগাঁও থানার কালুরঘাট এলাকার তারানন্দ কালী মন্দিরের সামনে থেকে অভিযুক্ত মোহাম্মদ হোসেনকে আটক করা হয়।

শুক্রবার (২০ নভেম্বর) বিকেল তিনটায় নগর পুলিশের লালদীঘি কার্যালয়ে গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের উপকমিশনার আলী হোসেন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ভেজাল কারখানার আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন। এসময় সিএমপিতে নবাগত অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পংকজ দত্তসহ গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উপ-কমিশনার আলী হোসেন জানান, ‘প্রতারক মোহাম্মদ হোসেন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ইউনানী ওষুধ প্রস্তুত করার জন্য অনুমতির আবেদন করেছিলেন। কিন্তু কোনো অনুমতি এখনো তিনি পাননি। এরই মধ্যে বাসা ভাড়া নিয়ে রীতিমতো ওষুধের ফ্যাক্টরি খুলে বসেছেন। তার ফ্যাক্টরিতে kho Max, Max life, excitement, monfedin, home caf, k-xin, gross-up, KZ bio bar প্রভৃতি ওষুধ উৎপাদন হতো।’

তিনি আরো বলেন, ‘সবুজ রঙের একটি ট্যাবলেট এসব নামে মোড়ক করে তারা বাজারজাত করতো। আর ওই টেবলেট মূলত আটা ময়দা ও বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা। এই ওষুধ মানব শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।’ এই চক্রের অন্যান্য সদস্যদের আটকে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে বলেও তিনি জানান।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি আলী হোসেন জানান, ‘এই চক্রটি তিন বছরেরও বেশি সময় এই প্রতারণা করে আসছে। পুলিশ যে ওষুধ জব্দ করেছে প্রতারক চক্রের কাছে তার বাজার প্রায় পঁচিশ থেকে ত্রিশ লাখ টাকা।’

প্রতারক মোহাম্মদ হোসেন চাঁদপুর সদরের আব্দুর রশিদের পুত্র। তার সহযোগী মাহমুদুল হক পলাতক রয়েছেন।

এফএম/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!