আজ পর্দা নামছে সিজেকেএস প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের

চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা আয়োজিত ইস্পাহানি প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের পর্দা নামছে রোববার (২৮ এপ্রিল)। ১২টি দল নিয়ে গত ১৩ মার্চ শুরু হয়েছিল এই লিগ। লিগের ৬৬টি খেলার মধ্যে শনিবার পর্যন্ত ৬৪টি খেলা সম্পন্ন হয়। লিগের নবম রাউন্ডেই কোন দল অবনমন হচ্ছে সেটি নিশ্চিত হওয়া গেলেও শেষ ম্যাচের আগ পর্যন্ত চ্যাম্পিয়ন কারা হচ্ছে তা বলা যাচ্ছে না।

রোববার নিজেদের শেষ ম্যাচে বন্দর ক্রীড়া সমিতি এ পর্যন্ত কোন ম্যাচ না জিতে প্রথম বিভাগে অবনমিত হওয়া শতদল ক্লাবকে হারাতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন হবে তারা। তখন তাদের এবং পাইরেটসের পয়েন্ট সমান সমান হলেও হেড টু হেডে বন্দর এগিয়ে থাকবে। আর কোন কারণে বন্দর হেরে গেলে তখন প্রথমবার প্রিমিয়ারি খেলতে এসেই চ্যাম্পিয়নের স্বাদ নেবে পাইরেটস। যদিও তাদের কয়েকটি ম্যাচ জয় বেশ প্রশ্নের সম্মুখীন এবং বিভিন্ন কৌশলগুলোকে অপকৌশল বলেই মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রামের বেশ কজন ক্রিকেট সংগঠক।

এছাড়াও ঘটনাবহুল এবারের প্রিমিয়ার লিগে নানান কারণে আলোচিত সমালোচিত হয়েছে। আবাহনী-এফএমসির মধ্যকার খেলা শেষে আম্পায়ারকে অপহরণ, হার মানতে না পেরে সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা কর্তৃক আম্পায়ারের গায়ে হাত তোলা, আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করে ব্রাদার্স দলের খেলতে অস্বীকৃতি, ম্যাচ শুরুর আগে ব্রাদার্সের খেলোয়াড় মাহবুবুল করিম মিঠু জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের প্রধান মাঠ কর্মী আব্দুল খালেকের গায়ে হাত তোলায় মাঠ কর্মীদের খেলা চালাতে অস্বীকৃতি প্রভৃতি নানান কারণে কোনদিন কোন ঘটনা না ঘটায় ছিল ব্যতিক্রম।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিকেট সিজেকেএস প্রিমিয়ার শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে। পেছাতে পেছাতে খেলোয়াড়দের বহুমুখী যোগাযোগ, মেয়র ও সিজেকেএস সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিনের সাথে চট্টগ্রামের সিনিয়র খেলোয়াড়দের একাধিকবার বৈঠকের পর লিগ শুরুর তারিখ নির্ধারিত হয়েছিল অক্টোবর-নভেম্বরে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের অযুহাতে তা আবারও পিছিয়ে যায়।

এভাবেই বিপিএল, ফুটবল লিগ নানান অযুহাতের পর শেষমেষ মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু করা হয়। রঙিন পোশাকে সাদা বলের ক্রিকেট খেলায় এখন দু প্রান্তে দুটি বল নিয়ে খেলা হয়। ঢাকা দ্বিতীয় বিভাগেসহ এই নিয়ম মেনে চলা হয়। সিজেকেএস বাইলজে লেখা আছে খেলা চলবে আন্তর্জাতিক নিয়মে। কিন্তু প্রথম চার রাউন্ড পর্যন্ত ছিল না কোন ম্যাচ রেফারি, খেলা চলছিল একটি বল দিয়ে, তাও অত্যন্ত নিম্নমানের ছিল। বিশ-পচিশ ওভার যেতে না যেতেই বলের আকার এবং রং নষ্ট হয়ে যেতো। বল বদলিয়ে খেলা চালানো হবে তারও কোন সুযোগ ছিল না। কেননা পুরনো বল সব উধাও হয়ে যেত। পরে দলগুলোর সম্মিলিত দাবীতে চতুর্থ রাউন্ডের পর নিয়োগ দেয়া হয় ম্যাচ রেফারি। একই সাথে দেয়া হয় দুপ্রান্তে দুটি বল।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!