রাজধানীর আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের সঙ্গে জঙ্গিদের গুলিবিনিময় চলছে। আজ শনিবার সন্ধ্যার পর এ আস্তানার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এক ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটির পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। এছাড়াও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় শারমিন (২৫) নামে এক যুবতীসহ তিন নারী জঙ্গিকে আটক করা হয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. ইউসুফ আলী জানান, সন্ধ্যার পর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট আজিমপুরে বিডিআর ২ নম্বর গেটের পাশে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের আস্তানায় অভিযান চালায়। সেখানে জঙ্গিদের সঙ্গে পুলিশের গুলিবিনিময় হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ভারপ্রাপ্ত কমিশনার সাহাবুদ্দিন কোরেশি ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের জানান, ‘গোলাগুলিতে এক জঙ্গি নিহত হয়েছেন। তিন নারী জঙ্গিকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়েছে।’
নিহত ব্যক্তির পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এর আগে লালবাগ থানা-পুলিশের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) জানিয়েছিলেন, এ ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন একজন নারীকে আটক দেখানো হয়েছে। ওই স্থানে এখনো অভিযান চলছে। এটি জঙ্গি হামলা
কি না, জানতে চাইলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি হয়েছে। এর বেশি কিছু এখনই বলা যাচ্ছে না।
পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, কাউন্টার টেররিজম ইউনিট আজিমপুরে অভিযান চালাচ্ছে। সঙ্গে আছেন সোয়াতের সদস্যরাও। আপাতত ওই এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপস্থিত সংবাদকর্মীরা জানান, আজিমপুরের ঘটনার পর রাতে শারমিন (২৫) নামের গুলিবিদ্ধ এক নারীকে হাসপাতালে আনা হয়। একই সঙ্গে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে আনা হয়। এর মধ্যে দুজন হাতে ধারালো অস্ত্রের কোপ খেয়ে জখম হয়েছেন। তিনজনের চোখে মরিচের গুঁড়ো লেগেছে। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন—কনস্টেবল লাভলু জামাল (২০), রামচন্দ্র বিশ্বাস (১৯), শাহজাহান আলী (২৩), মাহতাব উদ্দিন (২১) ও জহির উদ্দিন (২১)।
আরমান নামে ওই এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, রাত পৌনে ৮টার দিকে বিডিআর-২ নম্বর গেইটের কাছের ২০৯/৭ নম্বর বাসা থেকে এক নারীকে ছোরা হাতে দৌঁড়ে বের হয়ে আসতে দেখেন। এরপর সেখান থেকে গুলির শব্দ শুনতে পান।
পুলিশের লাগবাগ জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) ইব্রাহীম খান জানান, সেখানো এখনো পুলিশের অভিযান চলছে। পুলিশের কাউন্টার টেরোজিম ইউনিট এবং বিশেষ বাহিনী সোয়াট’র সদস্যরা অভিযানের নেতৃত্বে দিচ্ছেন।
রিপোর্ট : রাজীব
এ এস / জি এম এম / আর এস পি :::