আজাদী সম্পাদকসহ দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলায় ৭৪ আইনজীবীর ক্ষোভ

অনতিবিলম্বে কথিত মানহানির মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান

দৈনিক আজাদী সম্পাদক এমএ মালেক, বার্তা সম্পাদক দিবাকর ঘোষ ও রিপোর্টার জাহেদুল কবিরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএইচআরএফ)।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে সংগঠনের সভাপতি এডভোকেট জিয়া আহসান হাবীব ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এএইচএম জসিম উদ্দিনসহ ৭৪ জন মানবাধিকার আইনজীবী এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

এডভোকেট জিয়া আহসান হাবীব বলেন, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক প্রতিষ্ঠিত দৈনিক আজাদী সম্পাদক ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়েরের ঘটনায় সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় নগ্ন হস্তক্ষেপের শামিল। তথ্য অধিকার আইন ও জনগণের মত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকারের প্রতি হুমকি। অনতিবিলম্বে মানহানির এই মামলা নিঃশর্তে প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

তিনি আরও বলেন, যে সংবাদটি প্রকাশ হয়েছিল সেটা মানহানি মামলার আওতাভুক্ত কোন সংবাদ নয়। সাংবাদিকদের পেশাগত স্বাধীনতা রক্ষার আইনি লড়াইয়ে মানবাধিকার আইনজীবীগণ মজলুম সাংবাদিকদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

বিবৃতিতে মানবাধিকার আইনজীবীরা হলেন— এডভোকেট মো. আলী, এডভোকেট পরেশচন্দ্র দাশ, এডভোকেট মো. আবুল খায়ের, এডভোকেট আব্দুল ছাত্তার, এডভোকেট আনোয়ার আলী, এডভোকেট সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, এডভোকেট সৈয়দ মোহাম্মদ হারুন, এডভোকেট প্রদীপ আইচ দীপু, এডভোকেট আব্দুল সালাম, এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, এডভোকেট এএম নুরুল আবছার, এডভোকেট জান্নাতুল নাঈম রুমানা, এডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, এডভোকেট ফজলুল বারী, এডভোকেট মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, এডভোকেট মীর ইকরাম উদ্দীন আলমগীর, এডভোকেট সাইফুদ্দীন খালেদ, এডভোকেট স্বপন কুমার চৌধুরী (বান্দরবান), এডভোকেট তোফায়েল আহমেদ, এডভোকেট হাসান আলী, এডভোকেট ইব্রাহিম খলিল, এডভোকেট আশফাক আহমদ চৌধুরী, এডভোকেট সাইফুদ্দীন মানিক, এডভোকেট মঞ্জুর মোর্শেদ ভূঁইয়া, এডভোকেট বদরুল হাসান, এডভোকেট খুশনুদ রাইসা উশিকা, এডভোকেট দেওয়ান ফিরোজ, এডভোকেট এইচএম সোহরওয়ার্দী প্রমুখ।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৭ অক্টোবর কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সসহ ৫০ প্রতিষ্ঠানের ১২৯ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দৈনিক আজাদী পত্রিকায় প্রকাশ করা হয়। এ ঘটনায় গত ২১ অক্টোবর সম্পাদকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে একটি মানহানিকর মামলা দায়ের করা হয়।

মুআ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!