আজকে একটা লড়াই হোক

উদ্বোধনী খেলায় দ. আফ্রিকার বিরুদ্ধে স্বাগতিক ইংল্যান্ডের নিরুত্তাপ জয়ের ইশারা আগেরদিনই দিয়েছি। দিনের ১ম ওভারে ইমরান তাহির উত্তাপ ছড়ালেও ইংলিশদের হিসাবি ব্যাটিং তা নিরাপদ দূরত্বে নিয়ে গেছে।

৩১২ রান অলঙ্ঘনীয় পর্বত ছিল না দ. আফ্রিকার জন্যে। ইংল্যান্ডের গতির নিউ সেনসেশন জোফ্রা আর্চারের বাউন্সারে পথ হারায় অভিজ্ঞ সৈনিক আমলা। আমলার প্যাভিলিয়ন ফেরতে ব্যাটিং এর যে ছন্দ পতন ঘটে, তা আর কেটে উঠেনি। পুরো ইনিংসে পরিকল্পনার কোন ছাপ পরিলক্ষিত হয়নি। ইংল্যান্ডের যখনি উইকেটের প্রয়োজন হয়েছে, তখনি দ. আফ্রিকা তা উপহার (?) দিয়েছে। ইংল্যান্ড যেখানে মাঠে এবং মাথায় সমান তালে খেলেছে, দ. আফ্রিকা সেখানে শুধু মাঠেই খেলেছে।

বিশ্লেষকরা যে ম্যাচের আগাম মন্তব্য করতে চাইবে না, ‘ট্রেন্ট ব্রিজ’ এ আজ সে ম্যাচে মুখোমুখি হবে পাকিস্তান-উইন্ডিজ। এ দুদলের শক্তি বিচার খুব একটা কাজে আসে না; ‘দিন যার ম্যাচ তার’ এই নিরাপদ এবং নিশ্চিত পথেই হাটা ভালো।

সমসাময়িক ফর্ম আজ উইন্ডিজকে এগিয়ে রাখবে। গেইল-হোপ এর একজন দাঁড়িয়ে গেলে স্কোর তিনশো প্লাস হবেই। পাকিস্তানের বোলিং বৈচিত্রের জালে না আটকালে স্কোর চারশও হতে পারে উইন্ডিজের। আবার শুরুতে ছোট ধ্বস নামলে উইন্ডিজ দুশোর ঘরেও আটকে থাকতে পারে।

যদি আবহাওয়া অনুকূলে থাকে টস জয়ী দল আগে ব্যাট করবে, অন্তত উইন্ডিজ আগে ব্যাট করতে পারে। আজ কী আলোচনা ও আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকছে? পাকিস্তানের বোলিং-জাল নাকি উইন্ডিজের ব্যাটিং শো! আমার মনে হয় ব্যাটিং শো।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!