আছে ফণীর ‘ডর’, তবু ভরপুর পতেঙ্গা সৈকত

বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ইতিহাসে ৪৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় হতে পারে ‘ফণী’। তার ভয়ে কাঁপছে পুরো ভারত উপকূল। বাংলাদেশেও উপকূলীয় জেলা ও সমুদ্র বন্দরগুলোতে দেখানো হয়েছে সতর্কতা সংকেত। থমথমে পরিস্থতিতে বাতিল করা হয়েছে সরকারি সকল ছুটি। সরকার ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাগুলোও নিয়েছে ফণী মোকাবেলার ব্যাপক প্রস্তুতি। সারাদেশ রয়েছে উদ্বেগে, কেমন হবে ফণীর আচরণ।

তবুও ভরপুর পতেঙ্গার সৈকত

ফণীর জন্য চট্টগ্রামে প্রশাসনের বিভিন্ন পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি, চলছে মাইকিং, সতর্ক করা হচ্ছে পতেঙ্গাসহ উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের। চট্টগ্রামে দেখানো হয়েছে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত। বন্দরের অপারেশনাল সকল কাজও বন্ধ। প্রস্তত আশ্রয়কেন্দ্র। বাতাসের বেগও কম নয় পতেঙ্গা এলাকায়, তবুও উৎসাহী পর্যটকে মুখর পতেঙ্গা সৈকত। এ যেন ফণীকে বরণ করতেই সৈকতে বেড়াতে আসা।পুলিশ সৈকতের অধিকাংশ দোকান বন্ধ করে দিয়ে নিরুৎসাহিত করছে সৈকত বেড়াতে পর্যটকদের। তবুও শুনছে না তারা।

সৈকতে বেড়াতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাইহান মাহমুদ বলেন, এমন সময়ে সমুদ্র কেমন হয় একটু দেখতে আসলাম। ভালই লাগছে। ভয় থাকলেও মজা আছে সৈকতে।

তার সাথে আসা আরেক শিক্ষার্থী মজা করে বলেন, ভাই ফণীরে বরণ করতে আসছি।

সৈকত টহলরত পুলিশ সদস্য রাশিদুল হক বলেন, সবাইকে সতর্ক করছি চলে যাওয়ার জন্য অনেকে যাচ্ছে অনেকে না মেনে ঘোরাঘুরি করছে।

ফেসবুকে ‘ফণী’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘ফণী’কে নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা, ফণী আঘাত হানার আগেই ঝড় তুলেছে ফেসবুকে।কেউ সতর্ক করছেন, বিভিন্ন পরার্মশ দিচ্ছেন আবার কেউ ফণীকে নিয়ে করছেন ‘ট্রল’। ফণীর নাম নিয়েও করছেন মজা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!