আগ্রাবাদ টিএন্ডটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোজাক্কেরুল ইসলামের বিরুদ্ধে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে পেটানোর কারণে শরীর ফুলে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম ইফতেখার উদ্দিন ওয়াসির (১৪)। সে ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ হাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. মইনুদ্দীনের ছেলে।
শিক্ষার্থী ওয়াসির জানায়, ক্লাস শুরু হওয়ার আগে আমরা খেলছিলাম। ক্লাস ক্যাপ্টেন খাতায় আমাদের নাম লিখে স্যারকে জমা দেয়। আমাদের নাম লিখছিল সেটা আমরা জানতাম না। স্যার আসলে নামের তালিকাটি স্যারকে দিলে স্যার আমাকেসহ আর ১০ জনকে ডিশের তার দিয়ে অনেক মারধর করেন।
ওয়াসির পিতা মইনুদ্দীন জানান, শনিবার আমার ছেলে শরীরে অসংখ্য ক্ষতের চিহ্ন নিয়ে স্কুল থেকে আসে। তার শরীর ফুলে গেছে। সামান্য ঘটনায় আমার ছেলেকে স্কুলের শিক্ষক এমনভাবে মারলো যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। অপরাধ করলে ছাত্রকে শিক্ষক শাসন করবেন এটা স্বাভাবিক। তাই বলে ডিশের তার দিয়ে এভাবে পেটাবে?
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সৈয়দ আহমেদ বলেন, ‘আমি তো এ বিষয়ে কিছুই জানি না। তাছাড়া এখন তো স্কুলের ছাত্রদের গায়ে হাত তোলা নিষেধ। সেই জায়গায় ডিশ অ্যান্টেনার তার দিয়ে পেটানো তো অমানবিক। সম্ভবত আমি স্কুল থেকে বের হওয়ার পর ঘটনাটি ঘটেছে। তাছাড়া আমাকে এখনো ছাত্রের অভিভাবকরাও কোনো কিছু জানায় নি। এ বিষয়ে সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অভিযুক্ত শিক্ষক মোজাক্কেরুল ইসলাম বলেন, ‘ক্লাস চলার সময় তারা বেশি দুষ্টুমি করছিলো। তাই আমি তাদের মারতে বাধ্য হলাম।’
আচরণবিধি নিয়ে প্রশ্ন করলে মোজাক্কেরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি কখনো পড়ার জন্য ছাত্রদের পিটায় না। আমার শিক্ষকতার বয়স অনেক হয়েছে। আর সেই মুহূর্তে আমি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি।’
উল্লেখ্য, স্কুলে শিক্ষার্থীদের ওপর বেত্রাঘাত বা যে কোনো শারীরিক শাস্তি সরকার নিষিদ্ধ করার পরেও এই ধরণের ঘটনা বন্ধ হচ্ছে না।