নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী রাজনীতির জন্য শফিকুল ইসলাম চৌধুরীর ত্যাগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও রাউজানের সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী।
শনিবার (২০ অক্টোবর) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবীর ২য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে শফিকুল ইসলাম স্মরণ পরিষদ চট্টগ্রাম’র এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ফজলে করিম চৌধুরী বলেন, শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বেবী ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চরিত্রবান, আদর্শবাদী রাজনীতির প্রাণপুরুষ। ত্যাগ, সংগ্রাম ও মানুষের কল্যাণে নিজের জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। তিনি কর্মী বান্ধব ও মুক্তিযুদ্ধের অকুতোভয় সংগঠক হিসেবে স্বাধীনতার জন্য অগ্রণী ছিলেন।
তিনি বলেন, রাউজানের নোয়াপাড়া সড়ক সেকশন-১ কে শফিকুল ইসলাম চৌধুরীর নামে করা সহ বেশ ক’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকেও তার নামে করা হয়েছে।
দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন দৈনিক পূর্বকোণের পরিচালনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম তালুকদার, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি কলিম সরওয়ার, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আখতার আলম চৌধুরী, রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খান, প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, রাউজান ইউপি চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি আব্বাস উদ্দীন আহমদ, মাওলানা শাহ আবদুল হালিম আল মাদানী, এডভোকেট দীপক দত্ত প্রমুখ।
স্মরণ পরিষদের সচিব লেখক-সংগঠক মঈনুদ্দীন কাদের লাভলুর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন সাংবাদিক-লেখক শওকত বাঙালি, পরিষদের আহ্বায়ক মুসলেহউদ্দিন মুহম্মদ বদরুল, মরহুমের পুত্র সাইফুল ইসলাম চৌধুরী রানা, সারজু মোহাম্মদ নাছের, হাবিবুল জাকেরিয়া রাসেল, মহিউদ্দিন ইমন, স্মরণ পরিষদের সমন্বয়ক সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।
সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী আরও বলেন, ১৯৬৬ সাল থেকে শফিকুল ইসলাম বেবী রাজনীতির প্রাণ পুরুষ ও তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। আওয়ামী রাজনীতির জন্য তার ত্যাগ স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি কর্মী বান্ধব ও রাউজানের উন্নয়নে আমার প্রধান সহযাত্রী ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে এম.এ. মালেক বলেন, বেবী চৌধুরী ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী। তিনি রাজনীতি করলেও সামাজিকতায় অনেক অবদান রেখে গেছেন। জীবদ্দশায় ভালো কাজ করে গেছেন বলে বেবী চৌধুরীর কথা স্মরণ করছেন।
দৈনিক পূর্বকোণ’র পরিচালনা সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, শফিকুল ইসলাম চৌধুরী বর্তমান সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরীর ব্যাপক উন্নয়নের অন্যতম অংশীদার। তিনি প্রকৃত সমাজ হিতৈষী ছিলেন এবং একজন ভালো মানুষ ছিলেন।
স্মরণ সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর মুহাম্মদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক কামরুল ইসলাম সেলিম, আইনজীবী এডভোকেট সৈয়দ মোঃ কামাল উদ্দিন, ডাবুয়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান চৌধুরী লালু, বিনাজুরী ইউপি চেয়ারম্যান বাবু সুকুমার বড়–য়া, রাউজান ইউপি চেয়ারম্যান বি.এম. জসিম উদ্দিন চৌধুরী হিরু, পাহাড়তলী ইউপি চেয়ারম্যান রোকন উদ্দিন, পশ্চিম গুজরা ইউপি চেয়ারম্যান লায়ন শাহাবুদ্দীন আরিফ বিএ, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় সমন্বয়ক এডভোকেট জিনাত সোহানা। রাউজান ছাড়াও চট্টগ্রাম নগরে অবস্থানরত রাউজানের সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষাবিদ সহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।