বিএনপি নেতার বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা, শাহাদাতসহ আসামি ২৫

চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ের মনোরমা আবাসিক এলাকায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নুরুল আনোয়ারের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসনসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (১৯ জুন) গভীর রাতে নুরুল আনোয়ার বাদি হয়ে চান্দগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এ মামলায় নগর ছাত্রদলের সভাপতি ও বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক গাজী সিরাজ উল্লাহকেও আসামি করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাশার। তিনি বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

এর আগে গত বুধবার রাতে চান্দগাঁওয়ের মনোরমা আবাসিক এলাকায় দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নুরুল আনোয়ারের বাড়ি ভাঙচুর করেছে একদল যুবক। নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাতের নির্দেশে এই হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন দক্ষিণ জেলার ওই নেতা।

নুরুল আনোয়ার জানান, বুধবার (১৯ জুন) বিকেল সাড়ে পাঁচটায় চান্দগাঁও থানার কে বি আমান আলী সড়কের মনোরমা আবাসিক এলাকায় তার বাড়িতে এই হামলার নেতৃত্ব দেন নগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহ। ডা. শাহাদাত হোসেন এবং নুরুল আনোয়ারের গ্রামের বাড়ি চন্দনাইশ। তবে দুজনের রাজনীতি দুই জায়গায়।

হামলার কারণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে নুরুল আনোয়ার বলেছেন, দক্ষিণ জেলার এক সভায় আমি সাংগঠনিক কমিটি গঠনে ডা. শাহাদাতের হস্তক্ষেপ নিয়ে কথা বলেছি। দক্ষিণ জেলার কেউ সেই কথা ডা. শাহাদাতকে বললে তিনি আমার উপর ক্ষুব্ধ হন। বুধবার সকালে ডা. শাহাদাত মুঠোফোনে আমাকে হুমকি দেন। বিকেলেও ফোন করে হুমকি দেন। হুমকি দেওয়ার ঘন্টাখানেকের মধ্যে গাজী সিরাজের নেতৃত্বে ২০ থেকে ২৫ জন যুবক আমার বাসায় হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।

নুরুল আনোয়ার চন্দনাইশ সদর আসনের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার প্রশাসক ছিলেন। তিনি দক্ষিণ জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং চন্দনাইশ পৌর বিএনপিরও সভাপতি।

তবে হামলার নির্দেশের কথা অস্বীকার করে ডা. শাহাদাত বলেন, ‘আমার ৩০ বছরের রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে হামলা, ভাঙচুরের রেকর্ড নেই। শুনেছি উনার সঙ্গে স্থানীয়দের কথা কাটাকাটি হলে উনি গালমন্দ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসী উনার বাসায় হামলা চালান। এলাকাবাসী মানে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সবাই।’

নগর ছাত্রদল সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহ বলেন, ‘নুরুল আনোয়ার সাহেবের ছেলের গাড়ি স্থানীয় এক ছেলেকে চাপা দিলে ড্রেনে পড়ে তার হাত-পা ছিঁড়ে যায়। তাকে স্থানীয়রা মেডিকেল নিয়ে চিকিৎসা দেয়। চিকিৎসায় সহায়তা না করে আনোয়ার সাহেবের ছেলে স্থানীয়দের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তখন স্থানীয়রা ভাঙচুর করেন। এখানে রাজনৈতিক কিছু নেই। আমিও নেই। শাহাদাত ভাই থাকার তো প্রশ্নই উঠে না।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!