আইনজীবীদের কর্মবিরতিতে অচল আদালত

আইনজীবীদের কর্মবিরতিতে অচল আদালত 1নিজস্ব প্রতিবেদক : আইনজীবী ওমর ফারুক বাপ্পী হত্যার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম আদালতে আইনজীবীরা কর্মবিরতি কর্মসূচি পালন করেছেন। আদালত ছেড়ে রাজপথে এসে আইনজীবীরা দিনভর মিছিল-সমাবেশ করেছেন।

কর্মবিরতির কারণে সোমবার (২৭ নভেম্বর) আদালতের কোন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়নি। নিয়মিত মামলার শুনানি, জামিন শুনানি, সাক্ষ্যগ্রহণ কিছুই হয়নি। কোন বিচারকও এজলাসে উঠেননি বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী।

মহানগর দায়রা জজের অধীন একটি আদালতের বেঞ্চ সহকারি ওমর ফুয়াদ বাংলানিউজকে বলেন, বিচারকরা কেউ এজলাসে বসেননি। আইনজীবীদের কর্মবিরতিতে আদালতের সব কার্যক্রম কার্যত বন্ধ ছিল।

তবে আসামি হাজিরের নিয়মিত কার্যক্রম ম্যাজিস্ট্রেটদের চেম্বারে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা জানিয়েছেন নির্মলেন্দু বিকাশ চক্রবর্তী।

এদিকে সর্বস্তরের আইনজীবীরা বাপ্পী হত্যার বিচার দাবিতে আদালত প্রাঙ্গণে দফায় দফায় মিছিল করেছেন। এরপর সমাবেশও হয়েছে। মিছিল-স্লোগানে এসময় উত্তাল হয়ে উঠে পুরো আদালত অঙ্গন।

একই দাবিতে রোববার (২৬ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড় ঘণ্টার কর্মবিরতি পালন করেন চট্টগ্রামের আইনজীবীরা। এরপর সোমবার পূর্ণদিবস কর্মবিরতির ডাক দেয় জেলা আইনজীবী সমিতির।

জানতে চাইলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু হানিফ বাংলানিউজকে বলেন, পূর্ণদিবস কর্মবিরতির পর আমরা আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন কালো ব্যাজ ধারণের কর্মসূচি ঘোষণা করেছি। এর মধ্যে খবর পেয়েছি বাপ্পীর সকল খুনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আমরা এতে আশান্বিত হয়েছি এবং পিবিআইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

গত শনিবার (২৫ নভেম্বর) সকালে নগরীর চকবাজার থানার কে বি আমান আলী রোডে বড় মিয়া মসজিদের সামনে একটি ভবনের নিচতলার বাসা থেকে বাপ্পীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় তার হাত-পা ও মুখ টেপ দিয়ে মোড়ানো এবং পুরুষাঙ্গ কাটা অবস্থায় পাওয়া যায়।

বাপ্পী চট্টগ্রাম আদালতে আইন পেশায় ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি বারে অন্তর্ভুক্ত হন। তিনি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার আলী আহমেদ এবং মনোয়ারা বেগমের ছেলে।

এই ঘটনায় বাপ্পীর বাবা বাদি হয়ে নগরীর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!