আইআইইউসির টাকা মারার মামলায় জামায়াত নেতা শামসুলের রিমান্ড শুরু

সাবেক সাংসদ ও জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আ ন ম মুহাম্মদ শামসুল ইসলামকে চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইআইইউসি)-এর ১৪ কোটি ৮৯ লাখ ৮৮ হাজার ৩১৫ টাকা আত্মসাতের মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হল।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফরিদা ইয়াসমিনের আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ৫ আগস্ট সীতাকুণ্ডে অবস্থিত আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সাবেক সাংসদ আ ন ম মুহাম্মদ শামসুল ইসলাম, আরেকজন নায়েবে আমির প্রফেসর আহসান উল্ল্যাহ ভূঁইয়া, মোহাম্মদ আমীরুজ্জামান, প্রফেসর ড. আবদুল হামিদ চৌধুরী, অধ্যাপক কে এম গোলাম মহিউদ্দিন, অধ্যাপক মো. ড. আলী আজাদী, তৌফিকুর রহমান, মো. কামাল উদ্দিন, প্রফেসর ড. মো. মাহবুবুর রহমান, আব্দুল খালেককে আসামি করে সীতাকুণ্ড থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের নিয়ম অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মাত্র ব্যাংকে হিসাব ও তাতে লেনদেনের কথা থাকলেও এই বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আ ন ম মুহাম্মদ শামসুল ইসলামসহ তার অনুসারী ১০ জন শিক্ষক কর্মকর্তা ও আরো কয়েকজন পরস্পরের যোগসাজশে বিভিন্ন ব্যাংকে হিসাব খুলে ২০১৭-১৮ থেকে ২০২০-২১ সালের বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ কোটি ৮৯ লাখ ৮৮ হাজার ৩১৫ টাকা আত্মসাৎ করেন।

বর্তমান পরিচালনা কমিটির নিরীক্ষণে এ বিপুল অংকের অর্থের হদিস না পাওয়ায় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. হুমায়ন কবির বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে এই অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় আ ন ম মুহাম্মদ শামসুল ইসলামসহ মোট ১০ জনকে আসামি করা হয়। গত ১০ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অভিযান চালিয়ে সাবেক সাংসদ ও জামায়াতের নায়েবে আমির শামসুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

২৩ সেপ্টেম্বর ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় শামসুল ইসলামের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী অফিসার সুমন বণিক।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!