অ্যামব্রোশিয়া হোটেল ধরা খেল ১৭ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে

১৭ লাখ টাকার ভ্যাট ফাঁকি দিয়ে ব্যবসা করে আসছিল চট্টগ্রামের অ্যামব্রোশিয়া হোটেল। ভ্যাট গোয়েন্দার অভিযানে এ তথ্য বেরিয়ে এসেছে। কাগজপত্রে এক হিসাব, আবার বাস্তবে অন্য হিসাব— এভাবেই জালিয়াতি করে যাচ্ছিল হোটেলটি।

তদন্তে ভ্যাট ফাঁকির ঘটনা প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার (১২ অক্টোবর) অ্যামব্রোশিয়া হোটেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর হোটেলটি আগ্রাবাদ শেখ মুজিব রোডের জীবন বীমা ভবনের হোটেলটির অবস্থান— যার বিআইএন নম্বর ০০০১৪৫৪১১-০৫০৩।

এই হোটেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মামুন উর রহমান। তিনি আবার চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে চার তারকা মানের হোটেল ‘বেস্ট ওয়েস্টার্নের’ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। কর্মীদের বেতনভাতা না দিয়ে ওই হোটেলটি সাম্প্রতিককালে আলোচনায় এসেছিল।

অ্যামব্রোশিয়া হোটেলে ভ্যাট গোয়েন্দার অভিযান
অ্যামব্রোশিয়া হোটেলে ভ্যাট গোয়েন্দার অভিযান

জানা গেছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দার দল হোটেলটিতে অভিযান চালায়। এ সময় তারা হোটেলটির বাণিজ্যিক কাগজপত্র জব্দ করে। সেখানে দেখা যায় মাসিক রিটার্নে তাদের দেখানো বিক্রির পরিমাণের সঙ্গে ব্যাপক গরমিল রয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জুলাই পর্যন্ত অ্যামব্রোশিয়া হোটেলে প্রকৃত মোট বিক্রির পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। এই মূল্যের ওপর ভ্যাট আসে ৫৫ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। কিন্তু অ্যামব্রোশিয়া হোটেলে কর্তৃপক্ষ ওই একই সময় মাসিক রিটার্নের মাধ্যমে ভ্যাট দিয়েছে মাত্র ৪১ লাখ ৮৬ হাজার টাকা। ভ্যাট ফাঁকি দেওয়া হয়েছে ১৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। সময়মতো ভ্যাট পরিশোধ না করায় ভ্যাট আইন অনুসারে দুই শতাংশ হারে সুদসহ ওই অংক দাঁড়িয়েছে ১৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা।

চলতি বছর করোনাকালীন মার্চ থেকে জুন— এই চার মাস হোটেলটি বন্ধ ছিল। এ সময়টাতে তাদের ‘জিরো রিটার্ন’ বিবেচনায় আনা হয়েছে। ভ্যাট গোয়েন্দা দলের পাওয়া তথ্য করোনার আগের সময়ের।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!