‘মেজ্জান হাইলে আইয়ুন’ নোংরা পরিবেশে খাবার বানায়, ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানা

মেজবান চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবার। সিদ্ধ চালের ভাতের সাথে বিশেষ স্বাদে রান্না করা গরুর মাংস, নলা আর ঝোলের জিভে জল আনা খাবার। সে খাবারের চাহিদা পূরণে চট্টগ্রামের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে বেশ ভালো দামেই বিক্রি হয় মেজবানি খাবার। শুধু মেজবানি স্বাদের খাবার বিক্রি করার জন্য গড়ে উঠেছে ‘মেজ্জান হাইলে আইয়ুন’ নামে রেস্টুরেন্ট।

ক্রেতাদের কাছে এর চাহিদা যেমন বেশি, তেমন এ রেস্টুরেন্টের খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন ছিল। খাবারের দাম অনুযায়ী এর পরিমাণ, কর্মীদের ব্যবহার নিয়ে অসন্তোষ দীর্ঘদিনের। ক্রেতাদের এসব অভিযোগ তারা আমলে না নিলেও এবার তার জরিমানা গুণতে হলো ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে।

নগরের জামালখান মোড়ের ‘মেজ্জান হাইলে আইয়ুন’ শাখাকে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি ও বিক্রি এবং রেস্টুরেন্টের কর্মীদের ফিটনেস সার্টিফিকেট না থাকায় জরিমানা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমান আদালত তাদেরকে ১০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেন।

মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী এই জরিমানা করেন। এছাড়া গণি বেকারি এলাকার মডার্ন গণি বেকারিকেও একই কারণে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অপরদিকে দিনের অন্য অভিযানে আসকারদীঘি পাড় এলাকায় ফুটপাতে আসবাব রেখে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করায় চার দোকান মালিককে মোট ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস।

অভিযান প্রসঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মেজ্জান খাইলে আইয়ুন ও মডার্ন গণি বেকারি অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরি এবং পরিবেশন করছিলো। তাছাড়া তাদের কর্মীদের ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিলো না বিধায় তাদের প্রত্যেককে জরিমানা করা হয়।

এর আগে সোমবার (১ নভেম্বর) বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় নোংরা পরিবেশে খাবার উৎপাদন ও বাজারজাতকরণের জন্য মধুবন সুইটসকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগল নেলী।

বিএস/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!