অস্ত্র দিয়ে দুই বন্ধুকে ফাঁসাতে গিয়ে নিজেই গেলেন জেলে

দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বন্ধুকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসাতে ছক আঁকেন মো. তারেকুল ইসলাম (৩১)। যোগাড় করেন নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি তার। র‍্যাবের জালে পড়ে তারেক নিজেই এখন অস্ত্র মামলার আসামী হয়ে কারাগারে।

শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী পৌরসভা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-৭ চট্টগ্রাম। একসময় তার কাছ থেকে পাঁচটি চাকু ও একটি চাইনিজ কুড়াল জব্দ করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার।

গ্রেফতার তারেক বোয়ালখালীর ঘোষখীল এলাকার মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে।

র‍্যাব জানায়, বোয়ালখালীর সিএনজি ড্রাইভার তৈয়ব এবং চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার রিয়াজের সাথে বিরোধ রয়েছে তারেকের। তৈয়ব, রিয়াজ ও তারেক তিনজনই ছিলেন বন্ধু। বিরোধের জেরে রিয়াজ ও তৈয়বকে বিভিন্ন ভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করে আসছিল তারেক। এরই ধারাবাহিকতায় তাদেরকে অস্ত্র মামলায় ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে নানা ধরণের অস্ত্র কয়েকদিন আগে জোগাড় করেন তারেক।

ওই দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ফাঁসানোর উদ্দেশ্যে তার বন্ধু সিএনজি চালক তৈয়বকে মোবাইল ফোনে কল করে। এরপর তৈয়বের সিএনজি অটোরিকশায় চড়েই চট্টগ্রাম শহরে আসে তারেক। এসে রিয়াজকে সঙ্গে নিয়ে বোয়ালখালী যায় সে। সেখানে গিয়ে তৈয়ব ও রিয়াজকে একটি হোটেলে নাস্তা করার জন্য পাঠায় তারেক। এ সুযোগে তারেক বন্ধু তৈয়বের সিএনজি অটোরিকশায় দেশীয় অস্ত্রগুলো উঠিয়ে নেয়। তাদের মোবাইলে কল করে সিএনজিতে আসতে বলে। তখন তৈয়ব ও রিয়াজ সিএনজির কাছে আসলে তাদেরকে নিয়ে চট্টগ্রাম শহরে যাবে বলে সিএনজিতে উঠতে বলে তারেক। তৈয়ব ও রিয়াজ তারেকের কথামতো সিএনজিতে উঠে চট্টগ্রাম শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে।

বোয়ালখালী থেকে চট্টগ্রামের দিকে আসার পথে এই গাড়িটি র‍্যাবের তল্লাশির মুখে পড়ে। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারেক এই ঘটনার কথা স্বীকার করে। তারেকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আরএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!