অস্ত্র কারিগরদের আস্তানায় অভিযান, বিপুল অস্ত্র উদ্ধার পেকুয়ায়

কক্সবাজারের পেকুয়ায় গহীন অরণ্যে অস্ত্র তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়েছে র‍্যাব।

বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে পেকুয়া উপজেলার টইটংয়ের ঝুমপাড়া এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।

এ সময় ঝুমপাড়া এলাকার জলদস্যু আবদুল হামিদের ভাই আবদুল গফুর, বাদশা ও নাপিতখালী এলাকার আমিরুলকে আটটি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করা হয়।

র‍্যাব জানায়, ২১ জানুয়ারি আটক হওয়া উপকূলের শীর্ষ জলদস্যু পেকুয়ার নুরুল কবিরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী টিটংয়ের পাহাড়ি এলাকা ঝুমপাড়ায় অভিযান চালানো হয়। সেখানে ডাকাত আবদুল হামিদের নেতৃত্বে একটি অস্ত্র কারখানা রয়েছে। এই জায়গায় অস্ত্র তৈরি ও বেচা-কেনা হয়। এ কারখানায় তৈরি অস্ত্র চট্টগ্রাম ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসীদের কাছে বিক্রি করা হতো। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে ছয়টি একেবারেই নতুন।

র‍্যাবের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক এবং অস্ত্র উদ্ধার করতে পারলেও ডাকাত আবদুল হামিদ পালিয়ে যায়। আটক তিন জনের মধ্যে ডাকাত আমিরুল একজন দক্ষ অস্ত্র তৈরির কারিগর। ওই এলাকায় ১১টি পাহাড়ে অভিযান চালানো হয়। এর মধ্যে দুটি পাহাড়ে এই বাহিনীর আস্তানা পাওয়া যায়।

র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ জানান, দুর্গম এই এলাকাটি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত।

এর আগে গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকার জলদস্যু বাহিনীর সর্দার কবির আহমদ ও তার ১৪ সহযোগীকে আটক করে র‍্যাব-৭-এর একটি টিম।

আরএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!