অসহায়ের জন্য দুর্বার তারুণ্যের দুরন্ত উদ্যোগ–‘ফ্রি ঈদ শপিং’

করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে যখন দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি চলছে তখন বেকার হয়ে পড়েছেন অনেক অসহায় মানুষ। সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি এগিয়ে আসছেন অনেকেই। কেউ আর্থিক সাহায্য করছেন আবার কেউ চাল, ডাল, তেল, আলুসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছেন। তবে কেউ যাকাতের কাপড়-চোপড় দিলেও ঈদে শপিং করে দিচ্ছেন না। তাই গরীব, অসহায় ও দুস্থ মানুষদের জন্য সামাজিক সংগঠন দুর্বার তারুণ্য ‘ফ্রি ঈদ শপিং’ নামক এক নুতন ভিন্নধর্মী উদ্যোগ গ্রহন করেছে।

উদ্যোক্তরা জানিয়েছেন, ‘ফ্রি ঈদ শপিং’ এর উদ্যোগের মাধ্যমে একজন গরীব বা অসহায় মানুষ নিজের ইচ্ছে, পছন্দ ও সাইজ অনুসারে ঈদের বস্ত্রের মধ্যে যেকোন একটা আইটেম বিনামূল্যে নিতে পারবেন।

‘ফ্রি ঈদ শপিং’ এর উদ্যোক্তা ও সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন, করোনাকালীন এই সময়ে যাদের কাছে দু’মুঠো আহার নেই, তাদের কাছে শপিং শব্দটা হাস্যকর। আমরা চাই ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক সবার মাঝে। সামান্য হলেও আনন্দটা ভাগাভাগি হোক। এবার যেন গরীবরা অন্তত এটা বলতে পারে ঈদের শপিং করছি তো!

আমরা এখানে যা দিচ্ছি তা আমি নিজেই ব্যবহার করব এমন। অর্থাৎ আমি যে পাঞ্জাবি কিনেছি একইরকমগুলোই এখানে দেয়া হচ্ছে। শ্রেণি বৈষম্য আর বিভেদ ভুলে সাম্যের এক পৃথিবী গড়ে উঠুক সেই প্রত্যয়ে। মধ্যবিত্ত ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে এরকম আয়োজনের মাধ্যমে হাজারের অধিক মানুষকে ঈদ বস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে মধ্যবিত্তদের রাতে আঁধারে ঈদবস্ত্র দিয়ে আসা হয়েছে বলে জানান মুহাম্মদ আবু আবিদ।

সোমবার (১০ মে) চট্টগ্রাম নগরীর হালিশহরের গরীবে নেওয়াজ উচ্চ বিদ্যালয়ে মুহাম্মদ আবু আবিদ এর সভাপতিত্বে কার্যক্রমটি উদ্বোধন করেন যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু। উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘আজকে যেভাবে এরকম একটা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে তাতে তারা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার। তাদের এ কাজের সাথে সংযুক্ত হতে পেরে আমারও খুব ভালো লাগছে। আগামি ঈদেও যেন এমন উদ্যোগ শুধু তারা নয়, সকলে মিলে গ্রহণ করে সেই প্রত্যশাই করি।’

এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, এম এ মঞ্জুর, জসীম উদ্দিনসহ প্রমুখ। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধরন সম্পাদক মুহাম্মদ আবু আদিলসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দ।

কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!