অসমাপ্ত পরীক্ষার জন্য আকুতি ঝরল চবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে

স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনায় স্থগিত হওয়া অসমাপ্ত পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থীরা। তারা বিভিন্ন বিভাগে অধ্যয়নরত ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে দুই দফা মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনা বলে কোন কিছুই থেমে নেই। সবকিছুই প্রায় স্বাভাবিক গতিতেই চলছে, শুধুমাত্র শিক্ষাখাত ছাড়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেরা স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। সুতরাং করোনার অজুহাতে মাসের পর মাস এভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বন্ধ রাখার কোন মানে হয় না।

অসমাপ্ত পরীক্ষার জন্য আকুতি ঝরল চবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে 1

তারা বলেন, আমরা সরকার ও ইউজিসির কাছে জোরালো দাবি জানাই, অন্ততপক্ষে যত দ্রুত সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খুলে দিয়ে যেন অসমাপ্ত ও রুটিন দেওয়া পরীক্ষাগুলো শেষ করে তাড়াতাড়ি ফলাফল প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। না হয় লাখো মেধাবী শিক্ষার্থীর জীবন ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। যার দায় কিছুতেই সরকার ও ইউজিসি কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারবে না।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা সংকটে সাধারণ ছুটি ঘোষণার আগে বিভিন্ন বিভাগের পুরোদমে পরীক্ষা চলমান ছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগ বিভাগ সম্পূর্ণ পরীক্ষা শেষ করলেও কিছু বিভাগ অর্ধেক পরীক্ষা শেষ করে আটকে যায়। এসব বিভাগের মধ্যে আছে অর্থনীতি, ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা, সমাজতত্ত্ব ও আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা, রাজনীতি বিভাগের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষ, লোক প্রশাসন ও সংস্কৃত বিভাগের মাস্টার্স, হিসাব বিজ্ঞান ও মানবসম্পদ ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দুটি ব্যাচের ইন্টারশিপের মৌখিক পরীক্ষা, ফার্মেসি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের তিনটি ব্যবহারিক পরীক্ষা।

এছাড়া অর্ধেকের মধ্যে আটকে আছে গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষ ও দ্বিতীয় বর্ষের ব্যবহারিক, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মৌখিক ও ব্যবহারিক, ফরেস্ট্রি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সের অষ্টম সেমিস্টার, ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষ, ওশোনোগ্রাফি বিভাগের তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষ ও ফিশারিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষা। অন্যদিকে আরও বেশ কয়েকটি বিভাগে পরীক্ষার রুটিন দেওয়া হয়েছিল।

এমআইটি/এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!