অসময়ে চলে গেলেন প্রথম আলো-ডেইলি স্টারের মালিক লতিফুর রহমান

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি ট্রান্সকম গ্রুপের চেয়ারম্যান লতিফুর রহমান আর নেই (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। বুধবার (১ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের চিওড়া ইউনিয়নের চিওড়া গ্রামের নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।

লতিফুর রহমান স্ত্রী, পুত্র, দুই কন্যাসহ আত্মীয়স্বজন, গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। পারিবারিক সূত্র জানিয়েছে, লতিফুর রহমানের মরদেহ আজ ঢাকায় আনা হবে। গুলশানের আজাদ মসজিদে বাদ এশা তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর রাতেই বনানী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হবে।

লতিফুর রহমানের জন্ম জলপাইগুড়িতে, ১৯৪৫ সালের ২৮ আগস্ট। তিনি ঢাকায় থাকতেন গেন্ডারিয়ায়।

পড়াশোনার শুরু সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুলে। সেখান থেকে ১৯৫৬ সালে শিলংয়ের সেন্ট এডমন্ডস স্কুলে। তারপর কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। ১৯৬৫ সালে ঢাকায় ফিরে আসেন লতিফুর রহমান। ঢাকায় এসে ১৯৬৬ সালে ডব্লিউ রহমান জুট মিল ট্রেইনি হিসেবে কাজ শুরু করেন। দেড় বছর কাজ শেখার পর নির্বাহী হিসেবে যোগ দেন। এভাবে কাজ করেন ১৯৭১ সাল পর্যন্ত।

লতিফুর রহমান দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের মালিক। তিনি ফাস্টফুড, কোমলপানীয়, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক পণ্য, ওষুধ, সংবাদপত্র, চাশিল্প, বীমা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ন্যাশনাল হাউজিংয়ের উদ্যোক্তা পরিচালক।

লতিফুর রহমান প্যারিসভিত্তিক বৈশ্বিক বাণিজ্য সংগঠন আইসিসির নির্বাহী সদস্য, আইসিসি বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান ও বিশ্বের বৃহত্তম এনজিও ব্র্যাকের পরিচালক। এছাড়া তিনি কয়েক মেয়াদে এমসিসিআইয়ের সভাপতি ছিলেন।

তার স্ত্রীর নাম শাহনাজ রহমান। এই দম্পতির এক ছেলে ও দুই মেয়ে।

জানা গেছে, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। শেষ দিনগুলোর বেশিরভাগ সময়ই তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাড়িতে থাকতেন।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!