করোনার নতুন ধরন অমিক্রন ছড়িয়ে পড়ছে বিশ্বব্যাপী। পাশের দেশ ভারতেও পাওয়া গেছে অমিক্রনের রোগী। বাংলাদেশে আফ্রিকা ফেরত ২৪০ জনের হদিস পাওয়া না গেলেও এখনো পর্যন্ত মেলেনি অমিক্রন আক্রান্তের খবর। স্বভাবতই চট্টগ্রামেও পাওয়া যায়নি অমিক্রনের কোন রোগী। তবে ৪ জন আফ্রিকাফেরত প্রবাসীর খোঁজ পাচ্ছে না চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন। অমিক্রনের এই আশঙ্কার মধ্যেই চট্টগ্রাম দ্বিতীয়বারের মতো করোনাশূন্য আরেকটি দিনের দেখা পেল। এর আগে গত ২২ নভেম্বরও চট্টগ্রামে কারো করোনা শনাক্ত ও মৃত্যু হয়নি।
শনিবার (৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এর আগেরদিন শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে ৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। ওইদিন করোনায় কারও মৃত্যু হয়নি।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রামের ৮টি ও কক্সবাজারের একটি ল্যাবে ১ হাজার ২০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারো শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। একইসময়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি চট্টগ্রামে।
চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত এক লাখ ২ হাজার ৪১৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে নগরের বাসিন্দা ৭৪ হাজার ৯৪ জন। বাকি ২৮ হাজার ৩১৫ জন বিভিন্ন উপজেলার। অন্যদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৭২৩ জন চট্টগ্রাম নগরের, বিভিন্ন উপজেলায় মৃত্যু হয়েছে ৬০৮ জনের।
ল্যাবভিত্তিক ফলাফলে দেখা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি ল্যাবে ৪৪৭টি, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৩৮টি, শেভরন হাসপাতাল ল্যাবে ৪০১টি, চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২২০টি, মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৬৮টি, ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ১৫টি, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল ল্যাবে ১৮টি এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের একজনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
সবমিলিয়ে মোট এক হাজার ২০৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও কারও শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়নি।
এমএহক