অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ এলাকার শীর্ষ এক ইয়াবা ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসময় তার বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৭৩ লাখ ৬৮ হাজার ১০৯ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের খোঁজ পায় দুদক।

বুধবার (৪ মার্চ) বিকেল ৫টার দিকে দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক হুমায়ুন কবীর বাদি হয়ে জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এ একটি মামলা দায়ের করেন।

আসামি ইয়াবা ব্যবসায়ীর নাম নুরুল কবির। তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার দক্ষিণ হ্নীলা লেদা পশ্চিম পাড়ার মৃত আবুল কাশেমের পুত্র ।

দুদক সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ১৩ জুন টেকনাফ এলাকায় ইয়াবা ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে নুরুল কবিরসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় । ২০১৭ সালের ৯ জুলাই তার সম্পদের অনুসন্ধান করতে দুইজন কর্মকর্তা নিয়োগ দেয় দুদক। অনুসন্ধানকালে নুরুল কবিরের বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৭৩ লাখ ৬৮ হাজার ১০৯ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের খোঁজ পায় দুদক। ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণীর ফরম ইস্যু করা হয়। ২০১৯ সালের ৭ মে দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর কনস্টেবল মো. ফারুক উদ্দিনের মাধ্যমে এই নোটিশ জারি করা হয়।

সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৯ মে দুইজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে কক্সবাজার কারাগারে নোটিশ গ্রহণ করেন নুরুল কবির। ২০১৯ সালের ১৬ মে সম্পদ বিবরণী দাখিল করতে সময় বৃদ্ধির আবেদনও করেন তিনি। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ কার্যদিবস সময় বাড়ানো হয়। ২০১৯ সালের ২৯ মে নির্ধারিত ১৪ কার্যদিবসের পরও সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৬ (২) ও ২৭ (১) ধারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর এক কর্মকর্তা বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে সম্পদ বিবরণী ফরম দাখিল না করায় তার বিরুদ্ধে নন সাবমিশন একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে তার বিরুদ্ধে ৬ কোটি ৭৩ লাখ ৬৮ হাজার ১০৯ টাকা টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জনের খোঁজ পাওয়া যায়। তার সম্পদের পরিমাণ আরও বেশি থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তদন্তকালে এ বিষয়ে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।

মুআ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!